কলকাতা/রানাঘাট, 12 জুন: বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য চাপ এবং অত্যাচার ! রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বিরুদ্ধে তিলজলা থানায় এই অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী ।
গত 28 মে আইনের ছাত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরীর সঙ্গে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পেশায় চিকিৎসক মুকুটমণি অধিকারীর রেজিস্ট্রি হয় । তারপর থেকেই তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেননি বলে অভিযোগ । বিয়ের কথা যাতে প্রকাশ্যে না আনা হয়, সেজন্য স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরীকে চাপ দিতেন বলে অভিযোগ । শুধু মুকুটমণি অধিকারী নন, তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তিলজলা থানায় । রেজিস্ট্রি ম্যারেজের সময় তাঁর পরিবারের থেকে 1 কোটি টাকা পণ চাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্বস্তিকা ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবার মৃত্যুর পর স্বস্তিকা তাঁর মায়ের সঙ্গে পিকনিক গার্ডেনে থাকতেন । কোনও এক ব্যক্তি মারফত তাঁর সঙ্গে বিজেপি বিধায়কের আলাপ হয় ৷ এর পরেই প্রেম ও পরে রেজিস্ট্রি । এ বিষয়ে স্বস্তিকার অভিযোগ, রেজিস্ট্রির পর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছিলেন না মুকুটমণি অধিকারী । শুধু তাই নয়, ঘটনাটি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সে জন্য তিনি তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকাকে বারবার চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: চাকরির নামে প্রতারণা ! বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ 'ভুক্তভোগী'র
তবে এ বিষয়ে মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি । তবে রেজিস্ট্রি করে যে বিবাহ বন্ধনে তিনি আবদ্ধ হয়েছিলেন, তার বিভিন্ন নথি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক তাঁর বিবাহ কেন অস্বীকার করছেন তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় । ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তিলজলা থানার পুলিশ । পুলিশ সূত্রের খবর, 29 মে স্বস্তিকা জানতে পারেন একাধিক মহিলার সঙ্গে মুকুটমণির সম্পর্ক রয়েছে । অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে নানা সময়ে আসর বসত ৷ সেখানে অন্যান্য মহিলারাও যেতেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বস্তিকা ৷
যদিও বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী প্রসঙ্গে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সংসার জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান । তিনি বলেন, "তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপারে না গলানো উচিত না ৷ দলীয় বিষয় হলে আমি ভেবে দেখতাম ।"