ETV Bharat / state

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত শান্তিপুর, গুলিতে জখম 1 - তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা মাধব রায় ও তাঁর অনুগামীরা এলাকায় জুলুমবাজি চালাচ্ছেন । গতকাল এলাকার এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে মাধব রায়ের ছেলে ভরত রায় ও তাঁর সহযোগীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ ।

tmc inner clash at 5 no ward of shantipur municipality area
গোষ্ঠী সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত শান্তিপুরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড
author img

By

Published : Sep 2, 2020, 1:48 PM IST

Updated : Sep 3, 2020, 6:42 AM IST

শান্তিপুর, ২ সেপ্টেম্বর : এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ । রাতভর চলল গুলি ও বোমাবাজি । শান্তিপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা । গুলির আঘাতে জখম হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শান্তিপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল । তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে-র মধ্যে এই নিয়ে বহুবার প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছে । এই এলাকায় প্রকাশ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা নতুন নয় । গতকাল ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধে । অভিযোগ, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোবিন্দ দাসকে লক্ষ্য করে গতকাল সন্ধের সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি চালায় । পরপর দুই রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা । গুলি লেগে ঘটনাস্থানে জ্ঞান হারান গোবিন্দ । স্থানীয় মানুষজনকে দেখে ঘটনাস্থান ছেড়ে পালায় অভিযুক্তরা । এরপর এলাকাবাসী আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করেন । পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে গোবিন্দকে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ।

গোবিন্দ দাসের স্ত্রী পাপিয়া দাস অভিযোগ করেন, "আমার স্বামীর কোনও অপরাধ নেই । বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে । আমি অপরাধীদের শাস্তি চাই ।" গোবিন্দর শাশুড়ি বাসনা বিশ্বাস বলেন, "আমার জামাই যদি তৃণমূল নেতা মাধব রায়ের ঘনিষ্ঠ হত তাহলে এই ঘটনা ঘটত না । আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই । কিন্তু মাধব রায় ও তাঁর ছেলের জন্য আমাদের পাড়ায় কেউ শান্তিতে থাকতে পারছে না ।" স্থানীয় বাসিন্দা দিপালী দাস অভিযোগ করেন, "মাধব রায়ের সঙ্গে আমরা কয়েকজন দুর্গাপুজোর জন্য ঠাকুরের বায়না দিতে গেছিলাম । কিন্তু তিনি হঠাৎ বলেন, ঠাকুরের বায়না দেওয়া হবে না । টাকা-পয়সা সব তাঁকে দিতে হবে । কিন্তু আমি রাজি হইনি । তাতেই আমাকে উনি গালি-গালাজ করেন । সেইসময় গোবিন্দ সেখানে আসে । গোবিন্দকে ডেকে মীমাংসার কথা বলে মাধবের ছেলে ভরত । মীমাংসার নাম করে গোবিন্দকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা । আমরা খবর পেয়ে গোবিন্দকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করি ।" স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুলুমবাজি চালাচ্ছেন মাধব রায় ও তাঁর অনুগামীরা । অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন । এদিকে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে । ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ ।

গোষ্ঠী সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত শান্তিপুরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড

শান্তিপুর, ২ সেপ্টেম্বর : এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ । রাতভর চলল গুলি ও বোমাবাজি । শান্তিপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা । গুলির আঘাতে জখম হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শান্তিপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল । তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে-র মধ্যে এই নিয়ে বহুবার প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছে । এই এলাকায় প্রকাশ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা নতুন নয় । গতকাল ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধে । অভিযোগ, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোবিন্দ দাসকে লক্ষ্য করে গতকাল সন্ধের সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি চালায় । পরপর দুই রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা । গুলি লেগে ঘটনাস্থানে জ্ঞান হারান গোবিন্দ । স্থানীয় মানুষজনকে দেখে ঘটনাস্থান ছেড়ে পালায় অভিযুক্তরা । এরপর এলাকাবাসী আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করেন । পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে গোবিন্দকে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ।

গোবিন্দ দাসের স্ত্রী পাপিয়া দাস অভিযোগ করেন, "আমার স্বামীর কোনও অপরাধ নেই । বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে । আমি অপরাধীদের শাস্তি চাই ।" গোবিন্দর শাশুড়ি বাসনা বিশ্বাস বলেন, "আমার জামাই যদি তৃণমূল নেতা মাধব রায়ের ঘনিষ্ঠ হত তাহলে এই ঘটনা ঘটত না । আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই । কিন্তু মাধব রায় ও তাঁর ছেলের জন্য আমাদের পাড়ায় কেউ শান্তিতে থাকতে পারছে না ।" স্থানীয় বাসিন্দা দিপালী দাস অভিযোগ করেন, "মাধব রায়ের সঙ্গে আমরা কয়েকজন দুর্গাপুজোর জন্য ঠাকুরের বায়না দিতে গেছিলাম । কিন্তু তিনি হঠাৎ বলেন, ঠাকুরের বায়না দেওয়া হবে না । টাকা-পয়সা সব তাঁকে দিতে হবে । কিন্তু আমি রাজি হইনি । তাতেই আমাকে উনি গালি-গালাজ করেন । সেইসময় গোবিন্দ সেখানে আসে । গোবিন্দকে ডেকে মীমাংসার কথা বলে মাধবের ছেলে ভরত । মীমাংসার নাম করে গোবিন্দকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা । আমরা খবর পেয়ে গোবিন্দকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করি ।" স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুলুমবাজি চালাচ্ছেন মাধব রায় ও তাঁর অনুগামীরা । অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন । এদিকে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে । ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ ।

গোষ্ঠী সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত শান্তিপুরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড
Last Updated : Sep 3, 2020, 6:42 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.