কল্যাণী, 20 ফেব্রুয়ারি: পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধ! গাড়ি ভাঙচুর করা হলে পালটা লাঠিচার্জ পুলিশের (Police and Public Clash at Kalyani)। উত্তপ্ত নদিয়ার কল্যাণীর বিদ্যাসাগর এলাকা ৷ জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে নদিয়ার কল্যাণী পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর কলোনিতে একটি নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই নাম সংকীর্তন উপলক্ষে রাস্তার পাশে চলছিল পুজোর প্রসাদ বিতরণ। প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছিল ওই নাম সংকীর্তন উপলক্ষে। যখন রাস্তার দু'পাশ দিয়ে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ চলছিল ঠিক সেই সময় অভিযোগ উঠে একটি পুলিশের গাড়ি কোনওরকম দ্বিধাবোধ না-করে দ্রুত গতিতে রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
রাস্তার ধুলো গিয়ে পড়ে প্রসাদের থালায়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এলাকাবাসী। সেই শুনে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পুলিশের গাড়িটি। অন্য গাড়িগুলি যেখানে আস্তে আস্তে চলছে সেখানে পুলিশের গাড়ি এত দ্রুত গতিতে কেন যাবে? এই প্রশ্ন তুলে এলাকাবাসীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, হঠাৎ পুলিশ উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং অভব্য আচরণ করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় হাতাহাতি। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে ৷ পুলিশ গাড়িটিকে উলটে দেওয়া হয়। এরপর একাধিক পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে আসেন।
আরও পড়ুন: টোটোচালকদের আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার আসানসোল, পুলিশের লাঠিচার্জ
পালটা শুরু হয় পুলিশের তরফ থেকে লাঠিচার্জ। লাঠির আঘাত থেকে শিশু এবং মহিলারাও বাদ যাননি বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় নামানো হয় ব়্যাফ। ঘটনায় উভয় পক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে আটক করে কল্যাণী থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর উত্তেজিত জনতা কল্যাণী থানায় গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কল্যাণী বিধানসভার বিধায়ক অম্বিকা রায়। প্রাথমিকভাবে উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। পরে অবশ্য বিক্ষোভ চলার কারণে যাদের আটক করেছিল পুলিশ তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কল্যাণী বিধানসভা এলাকায়। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।