কৃষ্ণগঞ্জ, 25 মে : ইদের দিন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সাহায্য করলেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার OC । শুধু চাল, ডাল, নুন, তেল, সবজি নয় ৷ খুশির ইদের জন্য দিলেন একটি করে মুরগি ও সঙ্গে একটা করে মিষ্টির প্যাকেট । লকডাউনের ফলে দরিদ্র মানুষের দারিদ্রতা আরও বেড়েছে ৷ হাতে নেই নগদ পয়সা ৷ তাই গরিব মানুষ গুলো পেটপুরে খেতেও পাচ্ছেন না ৷ তাই ইদ পালন করা অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর কাছে একটা কঠিন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাই আজ দরাজ হাতে সাহায্য করলেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার OC রাজশেখর পাল ।
আজ সকালে তিনি কৃষ্ণগঞ্জের সাতটা পঞ্চায়েতের সাতটা বিশেষ জায়গায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খুশির ইদ পালনের জন্য একটি করে মুরগি ও মিষ্টির বাক্স-সহ আনাজ তুলে দিলেন গরিব মানুষদের হাতে । বাবলাবন, পাবাখালি, লক্ষ্মী ডাঙ্গা, পুঁটিখালি, বিষ্ণুপুর, দিগম্বরপুর, মাটিয়ারি ও বানপুরে আজ প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিটা জায়গায় এই খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । প্রশাসনের হাত থেকে চাল, ডাল, আলু, নুন সহ সমস্ত সবজি ছাড়াও একটা করে মুরগি ও মিষ্টির প্যাকেট সংগ্রহ করেন গ্রামের গরিবেরা । খুশি মুখে সকলে বাড়ি ফেরেন । ইদের দিনে যাতে তাঁরা মিষ্টিমুখ করতে পারেন । সেজন্য প্রশাসনের এই অভিনব উদ্যোগ । 120টা দরিদ্র পরিবারকে চিহ্নিত করে তাঁদের হাতে এই খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার OC । ইদের আগে প্রশাসনের এই দরাজ ভূমিকায় স্বভাবতই খুশি গ্রামবাসীরা ।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কামাল শেখ বলেন, " আমরা খুব খুশি ৷ ইদের আগে প্রশাসনের কাছ থেকে এই খাদ্যসামগ্রী পাওয়ায় । " অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা মনোজা বিবি বলেন, " এই রকম একজন পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা ধন্য । কারণ আমরা প্রতিবছরের মতো এবারও ইদের দিন খুশিতে কাটাতে পারব ৷ বাড়ির সকলকে খাওয়াতে পারব । ওদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব ৷ " এবিষয়ে বানপুর হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মিত্র বলেন, শুধু ইদেই নয়, এই থানার তরফে বিভিন্ন পুজোতে বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রীও তুলে দিয়েছেন একই ভাবে । পুলিশ কর্তা যে কতটা মানবিক প্রমাণ দিলেন আবারও । তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক ও মানবিক ত্রাতাও বটে । আমরা ধন্য কৃষ্ণগঞ্জ থানা এরকম একজন কর্মঠ OC পাওয়ায় । "