নদিয়া, 10 জুন: বয়স মাত্র 18 ৷ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ৷ স্থানীয় ব্রজেন মণ্ডলের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পয়েছিলেন ওই ছাত্রী ৷ যদিও সেই প্রস্তাবে মেলেনি সাড়া ৷ এরপরই কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ৷ শনিবার সকালে নদিয়ার হোগোলবেরিয়া থানার সোন্দলপুর এলাকার ঘটনা । মৃতের নাম সোনালি চক্রবর্তী (18) ৷
জানা গিয়েছে, হোগোলবেরিয়া থানার সোন্দলপুর বাসিন্দা সোনালি। এদিন সকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই কিশোরী ৷ সেই সময়ে হঠাৎই পিছন থেকে কিশোরীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ব্রজেন মণ্ডল ৷ এরপরই এলাকার মানুষ ওই কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে করিমপুর হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানায় । ঘটনার পর অভিযুক্ত প্রৌঢ় হোগোলবাড়িয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ।
পরিবারের অভিযোগ, এক বছর আগে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই প্রৌঢ় প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে রাজি না-হওয়ায়, কিশোরীর উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে । অভিযুক্তের কোনও প্রস্তাবে ওই কিশোরী শেষমেশ রাজি না-হওয়ায় সোনালির সঙ্গে সে অশ্লীল আচরণ করে বলেও অভিযোগ । এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায় করা হয় থানায় । পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও করে কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর থেকে আবার তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে । এদিন কিশোরীকে খুন করে থানায় আত্মসমপর্ণ করে ৷
যুবতীর পিসি গীতাঞ্জলি রায় বলেন, "সোনালি চক্রবর্তী যখন প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল ঠিক তখন সুদলপুর গ্রামের চরকতলা এলাকায় অভিযুক্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সোনালী ওই রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ফিরতেই পিছন দিক থেকে আচমকা তাকে লক্ষ্য করেছেন কোপাতে শুরু করে অভিযুক্ত। এরপর পালিয়ে যায় সে । স্থানীয় লোকজন সোনালিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।"
আরও পড়ুন: স্ত্রীর প্রেমিককে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ ব্যক্তির
এরপর অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মৃতদেহ আনা হয়েছে করিমপুর থানায় সেখান থেকে ময়নাতদন্ত জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে ৷