কৃষ্ণনগর, 9 ডিসেম্বর : প্রশাসনিক সভার (Mamata Banerjee Administrative Meeting) মঞ্চ থেকেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee message to mp mahua moitra on tmc inner conflict) ৷ মুখ খুললেন নদীয়ায় তৃণমূলের যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, তা নিয়েও ৷
এদিন মমতা বলেন, ‘‘মহুয়া এখানে আমি একটা স্পষ্ট মেসেজ দিতে চাই ৷ কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই ৷ আমি সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু লোক পাঠিয়ে, ইউটিউবে, অথবা ডিজিটালে অথবা পেপারকে দিয়ে দিলাম ৷ এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে, চিরদিন নয় ৷’’
প্রসঙ্গত, এদিন পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাল কাজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কৃষ্ণনগরের পৌর-প্রশাসককে সেই নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খোলেন ৷ তখনই মহুয়া মৈত্রর নাম উল্লেখ করে কড়া বার্তা দেন ৷ যখন মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলছেন, তখন মঞ্চেই বসে কৃষ্ণনগরের সাংসদ ৷
মমতা একই সঙ্গে বলেন, ‘‘একই লোক চিরকাল একই জায়গায় থাকবে, এটা মেনে নেওয়াও ঠিক নয় ৷ ভোটের সময় দল ঠিক করবে, কে প্রার্থী হবে ৷ সুতরাং এখানে কোনওরকম ভিন্নমত প্রকাশ করা উচিত নয় ৷ সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷’’
এই নিয়ে তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়ন্ত সাহার কাছে গত কয়েকদিন আগে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা জানতে চান । গোটা ঘটনা পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী । আর সেই ঘটনাকে সাজানো ঘটনা বলে সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ।
এই নিয়ে তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়ন্ত সাহা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা এখানে বলে গিয়েছেন তার মুখের ওপর আর কোনও কথা বলা যায় না । একটা দলে সবাই সমান হয় না ৷’’
আরও পড়ুন : Dhankhar Writes letter to Mamata : বিএসএফ নিয়ে বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের
তাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর কথা এড়িয়ে জয়ন্ত বাবু বলেন, ‘‘সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার পরামর্শ দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী । নিষ্ঠা আদর্শকে সামনে রেখে আগামিদিনেও কাজ করব । হয়তো কিছু জায়গায় কিছু ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে, রাজনীতিতে আর সত্যের যে জয় হয় তা প্রমাণ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর কথায় । তিনি যে সব সময় সব খবর রাখেন, সব নজর রাখেন তা আরও একবার প্রমাণিত হল ।’’