নদিয়া, 11 মার্চ: মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন দুয়ারে সরকার ৷ কিন্তু দেড় বছর ধরেই সরকারের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে মেলেনি নিষ্পত্তি । স্বামীর চাকরির প্রাপ্য পেনশন পেতে দরজায় দরজায় ঘুরেও হয়রানির শিকার । চরম অর্থ কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন নদীয়ার তাহেরপুর এ ব্লকের কল্পনা চক্রবর্তী ও তাঁর ছেলে শুভ চক্রবর্তী । ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে বাড়ি বিক্রির মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এই চক্রবর্তী পরিবার (Widow Facing Problem)।
নদীয়ার বাদকুল্লা মুগরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন জীবন চক্রবর্তী । চাকরিরত অবস্থায় 2020 সালের 10ই নভেম্বর মত্যু হয় জীবনবাবুর । এদিকে জীবনবাবুর চিকিৎসার জন্য ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে যায় চক্রবর্তী পরিবারের । শুরু হয় চরম অর্থকষ্ট । সংসার চালাতে ঋণের মাত্রাও বাড়ছে । এদিকে দীর্ঘ দেড় বছর কেটে গেলেও এখন পেনশন চালু হয়নি জীবন চক্রবর্তীর স্ত্রী কল্পনা চক্রবর্তীর । বর্তমানে ধার শোধ করার জন্য বসত বাড়িটি পর্যন্ত বিক্রয়ের চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন কল্পনা চক্রবর্তী ও তাঁর ছেলে (Taherpur pention problem)।
জানা গিয়েছে, জীবন চক্রবর্তীর মারা যাওয়ার পর তাঁর পেনশনের জন্য সমস্ত সরকারি দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন কল্পনা চক্রবর্তী । এসআই অফিস থেকে শুরু করে ডিআই অফিস নদীয়ার জেলাশাসকের দফতর, নবান্ন এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি কালীঘাট পর্যন্ত গিয়েছেন । কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি । স্বামীর পেনশনের অনুমোদন আটকে আছে সরকারি লাল ফিতের ফাঁসে । দ্রুত পেনশন চালু করতে অনুরোধ কল্পনাদেবীর ।