কৃষ্ণনগর, 26 অগাস্ট : লকডাউনের জেরে প্রায় 4 মাস ধরে বন্ধ দোকান ৷ দোকান খুললেও দেখা মিলছে না খদ্দেরের ৷ নদিয়ার কৃষ্ণনগরের গোয়ালপাড়া গ্রামের ফুচকা ব্যবসায়ীরা এখন আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন ৷ কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, উত্তর নেই কারও কাছে ৷ ভবিষ্যতে কী হবে? চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ফুচকা ব্যবসায়ীরা ৷
কৃষ্ণনগরের গোয়ালপাড়া গ্রামে প্রায় 150 থেকে 200টি পরিবারের বাস ৷ গ্রামের প্রায় সব পরিবারই ফুচকা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ৷ এই ব্যবসা করেই সংসার চালান তাঁরা ৷ লকডাউনের আগে দিনে প্রায় 300 থেকে 400 টাকার ফুচকা বিক্রি করতেন ব্যবসায়ীরা ৷ কিন্তু, এখন রোজগার প্রায় নেই বললেই চলে ৷ কোরোনার জেরে শহরের অনেক এলাকাই চিহ্নিত হয়েছে কনটেনমেন্ট হিসেবে ৷ যার ফলে আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন ৷ মাঝে দু-এক দিন দোকান খুললেও সেভাবে দেখা মেলেনি খদ্দেরের ৷ বাধ্য হয়েই দোকান বন্ধ রেখেছেন তাঁরা ৷
শুধু দোকান নয় ৷ লকডাউনের আগে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও ডাক পড়ত ফুচকা ব্যবসায়ীদের ৷ দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুজোর মেলাতেও রমরমিয়ে চলত ব্যবসা ৷ লকডাউনের ফলে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ৷ তাই, ডাক পড়ছে না ফুচকা ব্যবসায়ীদের ৷ কোরোনা সংক্রমণের জেরে এ-বছর দুর্গাপুজোও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ৷ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ফুচকা ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যতও ৷
অনেক ফুচকা ব্যবসায়ী সংসার চালানোর জন্য চাষের কাজ শুরু করেছেন ৷ অনেকে আবার অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৷ অনেক ব্যবসায়ী রেশনে পাওয়া চাল-ডালের ওপরই নির্ভর করে সংসার চালাচ্ছেন ৷ কিন্তু, এভাবে কতদিনই বা চলবে তাঁদের ৷ আগামী দিনে কীভাবে সংসার চালাবেন তাঁরা ? ফুচকা ব্যবসায়ী রাম মণ্ডল বলেন, "আমাদের পেশা ফুচকা বিক্রি করা ৷ এখন আমরা খেতে পারছি না ৷ বাচ্চাদের নিয়ে কিভাবে চলবে বুঝতে পারছি না ৷ ঋণ নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে ৷ সরকারের সহযোগিতা না মিললে না খেয়ে মরতে হবে আমাদের ৷ " অপর এক ব্যবসায়ী রাম মণ্ডল বলেন, "লকডাউনের জন্যই আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে ৷ ফুচকা বিক্রি একেবারেই বন্ধ ৷ মাঠে ঘাটে কাজ করে লোকজন সংসার চালাচ্ছেন ৷ পরিস্থিতি যেমন যে এই ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হব আমরা ৷ "