নদিয়া, 14 জুলাই : কোরোনা আবহে এই প্রথম বন্ধ হল 250 বছরের পুরনো শিবলিঙ্গ মন্দিরের মেলা । এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ মন্দিরের অনুষ্ঠান ।নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে অবস্থিত ।
কথিত আছে, সালটা 1754 । তখন নদিয়ায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের শাসনকাল । হঠাৎ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বে এবং তার পরিবারের ওপর মারাঠারা আক্রমণ শুরু করে । কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল । তখন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নিজের পরিবারকে বাঁচানোর তাগিদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কৃষ্ণগঞ্জের একটি গ্রামে গা-ঢাকা দেন ।
সেখানেই বেশ কয়েকদিন গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি । এর পরেই তার উপদেষ্টারা রাজাকে অনুরোধ করেন একটি শিবলিঙ্গ মন্দির স্থাপন করার জন্য । কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, যেহেতু মারাঠারা তাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে, আর এই মারাঠাদের ইষ্ট দেবতা হল শিব ঠাকুর । তাই শিবলিঙ্গ মন্দির স্থাপন করলে হয়ত মারাঠাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে ।
মূলত সেই উদ্দেশ্য নিয়েই 1754 খ্রিস্টাব্দে শিবলিঙ্গ মন্দির স্থাপন করেন তিনি । তারপর থেকেই ওই গ্রামের নাম হয় শিবনিবাস । শিবলিঙ্গের উচ্চতা 9 ফুট এবং ব্যাসার্ধ 26 ফুট । এখনও পর্যন্ত এই শিবলিঙ্গটিকেই এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ হিসাবে ধরা হয় ।
250 বছরের পুরনো সেই মন্দিরে প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালে ভক্তরা । শুধু নদিয়া জেলা নয়, গোটা রাজ্য থেকে লাখ লাখ ভক্তরা আসেন শিবনিবাসের শিব লিঙ্গের মাথায় জল ঢালতে ।