হাঁসখালি (নদিয়া), 15 এপ্রিল: নদিয়ার হাঁসখালিতে শুটআউটে ধৃত আরও দুই ৷ তৃণমূল নেতা আমদ আলির খুনের ঘটনায় গ্রেফতার শেখ গিয়াসউদ্দিন ও তাঁর ছেলে শাহীন বিশ্বাস । শনিবার ওই দু’জনকে হুগলির গ্রামীণ পুলিশের পান্ডুয়া থানার বৈঁচি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তার পর তাঁদের হাঁসখালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় পান্ডুয়া থানা ।
তৃণমূল নেতাকে খুনের পরদিন হাঁসখালি থানার পুলিশ চায়ের দোকানের মালিক আব্দুল খালেক মণ্ডলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল । গত 8 এপ্রিল তাঁকে রানাঘাট আদালত দশদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আরও দুজনের নাম জানতে পারে । এর পরই গিয়াসউদ্দিন ও শাহীনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ ।
পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । ছবি পাঠানো হয় । এমনকি পুলিশ তাঁদের খোঁজে ভিন রাজ্যেও পাড়ি দেয় । পুলিশের অনুমান, সেখান থেকে কোনোভাবে পালিয়ে এসে বৈঁচিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাবা ও ছেলে । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পান্ডুয়া থানার পুলিশ শুক্রবার দুপুর দুটো নাগাদ বৈঁচি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে ধরে । বিষয়টি হাঁসখালি থানায় জানিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের হাতে বাবা ও ছেলেকে তুলে দেওয়া হয় ।
উল্লেখ্য, গত 7 এপ্রিল সকালে হাঁসখালি থানার বড়চুপড়ির বাসিন্দা আমদ আলি বিশ্বাস ছোট চুপড়িয়া বাজারে বাজার করতে গিয়েছিলেন । সেখানে বাইকে করে পাঁচজন এসে তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন । এরপরেই তারা আমদকে এলোপাথাড়ি গুলি করে ঝাঁঝরা করে পালিয়ে যায় । স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে তৃণমূল যুব সহ-সভাপতি আমদকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক ।
কী কারণে এই ঘটনা ঘটল পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব । কে এর সঙ্গে যুক্ত তারই তদন্ত শুরু করে পুলিশ ।তদন্তে নেমে তিনজনের নাম উঠে আসে । একজনকে ধরলেও আরও দুজনকে ধরা বাকি ছিল । আজ বাবা-ছেলে ধরার পর পুলিশ তিনজনকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করবে৷ তার পর সঠিক তথ্য উঠে আসবে বলে ধারণা সকলের ।
আরও পড়ুন: হাঁসখালিতে তৃণমূল যুবর সহ-সভাপতিকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা