শান্তিপুর, 18 অগাস্ট : গঙ্গায় ভাঙনের জেরে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘা বিঘা চাষের জমি, ঘর-বাড়ি ৷ আতঙ্কে দিন কাটছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসকারী কয়েকশো পরিবারের ।
স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রতি বছর বর্ষা শুরু হতেই গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যায় ৷ যার জেরে সমস্যায় পড়তে হয় নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের ৷ তাঁদের অভিযোগ, বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ৷ মাঝেমধ্যে কয়েকটি বালির বস্তা দিয়ে পাড় বাধানোর চেষ্টা করা হয় । কিন্তু তাও আবার কয়েকদিনের মধ্যে তলিয়ে যায় । নদীর ভাঙনের জেরে একের পর এক চাষের জমি জলে তলিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা ৷
অনিল নাগ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "এখন গঙ্গা আমাদের কাছে জীবন মরণের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে । সরকার থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত পাকাপোক্তভাবে নদীর পাড় বাঁধানো হচ্ছে ততদিন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াবে । আমরা চাষের উপর নির্ভরশীল ৷ কিন্তু প্রতি বছর চাষের জমি এবং ফসল এভাবে তলিয়ে গেলে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে। একদিকে পোকামাকড়ের উৎপাত অন্যদিকে কখন গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে যাবে বাড়িঘর তা নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি আমরা । "
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রানু মল্লিকের স্বামী কালিপদ মল্লিক বলেন, "এর আগে ভাঙনের জেরে প্রায় 700 বিঘা জমি তলিয়ে গেছে । অনবরত ভেঙেই চলেছে ৷ প্রশাসনের তরফে শুধু বাঁশের খাঁচা এবং বালির বস্তা দিয়ে পাড় বাঁধানোর চেষ্টা করা হয় । মহকুমাশাসক থেকে শুরু করে জেলা সেচ বিভাগ সব জায়গায় পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু কাজের কাজ বলতে শুধুমাত্র ওই বালির বস্তা । তাতে কি আর গঙ্গা ভাঙন রোধ করা যায় । "
গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুখিলা বিবি বলেন, "আমরা নিজেরাও আতঙ্কের মধ্যে আছি ৷ যখন তখন নদীর তীরবর্তী এলাকার বাড়িগুলো তলিয়ে যেতে পারে । আমরা একাধিকবার জেলা এবং মহকুমা শাসকের দপ্তরে কাগজ জমা দিয়েছি । তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন ।"