হাঁসখালি (নদিয়া), 24 মে: হাত-পা ভাঙা অবস্থায় বিজেপির বুথ সহসভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাযই খুন করেছে বলে দাবি করছে পরিবার। ঘটনাটি নদিয়ার হাঁসখালি থানার অন্তর্গত পিপুল বেরিয়া এলাকার ৷ জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দা নকুল হালদারের বয়স আনুমানিক 60 বছর। এলাকায় বিজেপি নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। বর্তমানে বিজেপির বুথ সহসভাপতিও ছিলেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে যখন ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল তখন তিনি বাড়ি থেকে জমির দিকে গিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাড়ি ফিরছিলেন না। অবশেষে এলাকারই কয়েকজন বাসিন্দা এসে খবর দেন আমবাগানে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গামছায দিয়ে গলায় ফাঁস অবস্থায় ঝুলছে বিজেপি নেতা নকুল হালদারের মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে আনে। বুধবার মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে বিজেপি নেতা নকুল হালদারের ছেলে রাজেশ হালদার বলেন, "আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরায় খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে গাছের সঙ্গে। আর এই খুনের পিছনে তৃণমূল আশ্রিত লোকজনরাই রয়েছে। তার কারণ আমার বাবা ওই এলাকায় সক্রিয় বিজেপি নেতা ছিল। সেই কারণেই হিংসার বলি হল আমার বাবা। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।"
আরও পড়ুন: প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বিয়ে! চারমাসের মধ্যে যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার আগরপাড়ায়
তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ ঘোষ বলেন, "নকুল হালদার ওই এলাকার প্রথম সারির বিজেপি নেতা ছিলেন। যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত ভোট তাই নকুল হালদার থাকলে তৃণমূলরা ওই এলাকায় ভোট লুট করতে পারবে না। সেই কারণেই দুষ্কৃতীরা তাকে খুন করেছে। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।" এবিষয়ে বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, "যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। তার কারণ তার একটি পা-ভাঙা রয়েছে এবং অত নিচু একটি ডালে কীভাবে সে গলায় ফাঁস দিতে পারে। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।"