তেহট্ট, 12 মে: সিপিএমের মিছিল ঘিরে তেহট্টে ধুন্ধুমার ৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে তাপস সাহার পদত্যাগ এবং দ্রুত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে নদিয়ার তেহট্টে মহকুমা শাসকের দফতর অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছিল সিপিএম ৷ সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তেহট্টে মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযান চলে । তাতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ৷
পুলিশ একের পর এক ব্যারিকেড দিয়ে রাখলেও তা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে । অন্য়দিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে পালটা ইট ছোড়ার অভিযোগ তুলেছে বামেরা ৷ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, চোরেদের গ্রেফতার করতে হবে । দ্রুত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিনক্ষণও ঠিক করতে হবে ৷ তাই এই মহাশাসকের দফতরে একটি ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল বামেদের ৷
প্রশাসনের তরফে বামেদের আটকাতে তিনটি ব্যারিকেড দেওয়া হয় ৷ অভিযোগ, প্রথম দু'টি ব্যারিকেড ভেঙে বাম কর্মীরা মহাকুমা শাসকের দফতরের দিকে এগিয়ে যায় ৷ পরে আরেকটি ব্যারিকেডের সামনে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় ৷ বাম নেতার অভিযোগ, পুলিশ বাড়ির ছাদ থেকে বাম কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছে ৷
উল্লেখ্য, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি ৷ চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত ৷ আদালতের নির্দেশে প্রায় 15 ঘণ্টা ধরে তাপস সাহার বাড়িতে তল্লাশি চলে । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয় বিধায়ককে ৷ তল্লাশি শেষে বিধায়কের মোবাইল ফোনও নিয়ে চলে যান বিধায়ক। অন্যদিকে সুজনের দাবি, প্রশাসন ভয় পেয়ে বামকর্মীদের উপর ইট ছুড়েছে ৷ মহকুমাশাসক দফতর দখল করা মূল উদ্দেশ্য ছিল না ৷ মহাকুমাশাসক ভয় পেয়ে টেবিলের তলায় লুকিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: উর্দি খুলে তৃণমূলের জামাটা পরিয়ে দেবে মানুষ, পুলিশকে হুঁশিয়ারি সুজনের