ETV Bharat / state

করোনা বদলে দিল রুটিন, ঠান্ডা পানীয় বেচে সংসার চালাচ্ছে স্কুলপড়ুয়া

করোনা ভাইরাস বদলে দিয়েছে রুটিন ৷ পড়াশোনা, খেলাধুলো ভুলে ঠান্ডা পানীয় বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে নবদ্বীপের বাসিন্দা ক্লাস সেভেনের স্কুলপড়ুয়া ৷

coronavirus changed the life class seven student selling cold drinks to save his family at nadia
করোনা বদলে দিল রুটিন, ঠান্ডা পানীয় বেচে সংসার চালাচ্ছে স্কুলপড়ুয়া
author img

By

Published : Jul 20, 2021, 8:25 PM IST

নবদ্বীপ, 20 জুলাই: অতিমারিতে জীবনটা আমূল বদলে গিয়েছে পলাশ দেবনাথের ৷ ক্লাস সেভেনের ছাত্র ৷ করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই দীর্ঘদিনের লকডাউনে বাবার কাজ গিয়েছে ৷ এখন তিনি টোটো চালান ৷ আর বাবার সঙ্গে সংসার চালানোর গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে ছোট্ট ছেলেটিকে ৷ স্কুল এখন বন্ধ ৷ তাই স্কুলের সময়টায় সাইকেল চড়ে ঠান্ডা পানীয় বিক্রি করতে হচ্ছে পলাশকে ৷

বয়স 12 কি 13 ৷ বড় জোর 14 ৷ রিকশা চালাতে শিখে নিয়েছে সে সদ্য ৷ গানওয়ালার এই গানের কলি মনে করিয়ে দেবে ক্লাস সেভেনের পলাশ দেবনাথ ৷ তবে এ ছেলে রিকশা নয়, সাইকেল চালিয়ে দিনভর ঘুরে বেড়াচ্ছে নবদ্বীপ শহরের আনাচে-কানাচে ৷ সাইকেলের পেছনে বাঁধা একটি থার্মোকলের পেটি ৷ তাতে ঠান্ডা পানীয়, জলের বোতল নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা ৷ পড়াশোনা, খেলাধুলোর রুটিন ভুলে এটাই এখন তার বেঁচে থাকার চাবিকাঠি ৷

coronavirus changed the life class seven student selling cold drinks to save his family at nadia
করোনা বদলে দিল রুটিন, ঠান্ডা পানীয় বেচে সংসার চালাচ্ছে স্কুলপড়ুয়া

কোলের ডাঙা অঞ্চলের বাসিন্দা পলাশের বাবার নাম অজয় দেবনাথ । আগে তিনি নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জে থাকতেন ৷ সেখানেই মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন ৷ করোনা বিধির ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দোকান ৷ রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ায় তিনি সপরিবার ফিরে যান কোলের ডাঙায় । এখন বাবার টোটো চালানো আর ছেলের পানীয় বিক্রির টাকাতেই চলছে সংসার ৷

ঠান্ডা পানীয় বেচে সংসার চালাচ্ছে স্কুলপড়ুয়া

পলাশের কথায়, "ক্লাস সেভেনে পরি ৷ এখন স্কুল বন্ধ ৷ তাই রোজ সাইকেল নিয়ে নবদ্বীপের নানা জায়গায় যাই, পানীয় বিক্রি করতে । প্রতিদিন প্রায় 25 বোতল বিক্রি করি ৷ রথের দিন একটু বেশি বিক্রি হয়েছে ৷ জল ও বিস্কুট খেয়ে সকাল 7টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি ৷ ফিরতে ফিরতে বিকেল চারটে বেজে যায় ৷ মাঝে কোথাও দাঁড়িয়ে দোকান থেকে রুটি-পরোটা কিছু খেয়ে নিই ।" দস্যি দামাল হওয়ার বয়সে এটাই এখন রোজনামচা তরতাজা কিশোরের ৷ করোনা মানুষের জীবনে কীভাবে অভিশাপের মতো নেমে এসেছে, তারই জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ পলাশ দেবনাথ ৷

নবদ্বীপ, 20 জুলাই: অতিমারিতে জীবনটা আমূল বদলে গিয়েছে পলাশ দেবনাথের ৷ ক্লাস সেভেনের ছাত্র ৷ করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই দীর্ঘদিনের লকডাউনে বাবার কাজ গিয়েছে ৷ এখন তিনি টোটো চালান ৷ আর বাবার সঙ্গে সংসার চালানোর গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে ছোট্ট ছেলেটিকে ৷ স্কুল এখন বন্ধ ৷ তাই স্কুলের সময়টায় সাইকেল চড়ে ঠান্ডা পানীয় বিক্রি করতে হচ্ছে পলাশকে ৷

বয়স 12 কি 13 ৷ বড় জোর 14 ৷ রিকশা চালাতে শিখে নিয়েছে সে সদ্য ৷ গানওয়ালার এই গানের কলি মনে করিয়ে দেবে ক্লাস সেভেনের পলাশ দেবনাথ ৷ তবে এ ছেলে রিকশা নয়, সাইকেল চালিয়ে দিনভর ঘুরে বেড়াচ্ছে নবদ্বীপ শহরের আনাচে-কানাচে ৷ সাইকেলের পেছনে বাঁধা একটি থার্মোকলের পেটি ৷ তাতে ঠান্ডা পানীয়, জলের বোতল নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা ৷ পড়াশোনা, খেলাধুলোর রুটিন ভুলে এটাই এখন তার বেঁচে থাকার চাবিকাঠি ৷

coronavirus changed the life class seven student selling cold drinks to save his family at nadia
করোনা বদলে দিল রুটিন, ঠান্ডা পানীয় বেচে সংসার চালাচ্ছে স্কুলপড়ুয়া

কোলের ডাঙা অঞ্চলের বাসিন্দা পলাশের বাবার নাম অজয় দেবনাথ । আগে তিনি নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জে থাকতেন ৷ সেখানেই মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন ৷ করোনা বিধির ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দোকান ৷ রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ায় তিনি সপরিবার ফিরে যান কোলের ডাঙায় । এখন বাবার টোটো চালানো আর ছেলের পানীয় বিক্রির টাকাতেই চলছে সংসার ৷

ঠান্ডা পানীয় বেচে সংসার চালাচ্ছে স্কুলপড়ুয়া

পলাশের কথায়, "ক্লাস সেভেনে পরি ৷ এখন স্কুল বন্ধ ৷ তাই রোজ সাইকেল নিয়ে নবদ্বীপের নানা জায়গায় যাই, পানীয় বিক্রি করতে । প্রতিদিন প্রায় 25 বোতল বিক্রি করি ৷ রথের দিন একটু বেশি বিক্রি হয়েছে ৷ জল ও বিস্কুট খেয়ে সকাল 7টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি ৷ ফিরতে ফিরতে বিকেল চারটে বেজে যায় ৷ মাঝে কোথাও দাঁড়িয়ে দোকান থেকে রুটি-পরোটা কিছু খেয়ে নিই ।" দস্যি দামাল হওয়ার বয়সে এটাই এখন রোজনামচা তরতাজা কিশোরের ৷ করোনা মানুষের জীবনে কীভাবে অভিশাপের মতো নেমে এসেছে, তারই জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ পলাশ দেবনাথ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.