নদিয়া, 27 জুলাই: আবারও শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল। এবার শান্তিপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধানের গ্রেপ্তারিরদাবিতে থানায় বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন জমা দিল তৃণমূল একটি গোষ্ঠী ।
অভিযোগকারীদেরবক্তব্য, শান্তিপুরপৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান আবদুল সালাম কারিগরের নির্দেশেতাঁর ছেলে মন্টু কারিগরের নেতৃত্বে দু'দিন আগে হামলা হয় তৃণমূলেরই একদলকর্মীর উপর । যারা শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের সমর্থক বলেপরিচিত । প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি ও তাঁর ছেলেরনেতৃত্বে এলাকায় তোলাবাজি চলছে । দোকান, বাড়ির উপর জুলুম চালানো হয় ৷প্রতিবাদ করতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ । দু'দিন আগেও এলাকায় ঢুকে মন্টু কারিগরেরনেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ । ওইএলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সাকিবুল হোসেন এবং মুনা কারিগর তোলাবাজির প্রতিবাদকরলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা । ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় সাকিবুলহোসেন এবং মোনা কারিগরকে । তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেওঅভিযোগ । স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থানে ছুটে এলে পালিয়ে যায়দুষ্কৃতীরা । স্থানীয়রাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাকিবুল হোসেন এবং মোনা কারিগরকেশান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করে । এরপর ঘটনাস্থানে পৌঁছায়শান্তিপুর থানার পুলিশ । তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধানআবদুল সালাম কারিগর ।
তিনিবলেন, "এইঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই । এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয় । ব্যক্তিগতআক্রোশে এই ঘটনা ঘটেছে ।
এদিকেঘটনার পরিপেক্ষিতে 3 জনকেগ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । যদিও রবিবারের বিক্ষোভকারীদের দাবি, মূল অভিযুক্ত শান্তিপুর শহর তৃণমূলেরসভাপতি আবদুল সালাম কারিগর ও তাঁর ছেলে ৷ অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে ৷