কৃষ্ণনগর, 13 জুন : সাধারণ মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার টাকা পাঠাচ্ছে । কিন্তু সেই টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে রাজ্যে । আর তার জন্য দায়ি রাজ্যের শাসক দল । আজ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ তুললেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
পাশাপাশি মুখ খোলেন রাজ্যপালকে নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে । বলেন, " রাজ্যপাল যদি রাজভবনকে কোয়ারানটিন সেন্টার বানান, তাহলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে সেখানে থাকতে হবে । কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকতে চান, রাজভবনে পঞ্চাশটি ঘর আছে, প্রথম ওঁকে দিয়েই শুরু হোক । আমি নিজে রাজ্যপালকে অনুরোধ করব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটি ঘর ছেড়ে দিতে ।"
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও । সেই প্রসঙ্গে টেনে এনে দিলীপ ঘোষ বলেন, "মহুয়া মৈত্র টাইম পাস করছেন । আপনারা ক'দিন দেখেছেন মানুষকে সেবা করতে । উনি ভিডিয়ো করার দায়িত্ব নিয়েছেন । ওঁর দলের যাঁরা নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য অর্থাৎ যাঁরা ভোট লুট করে, গায়ের জোরে সদস্য হয়েছেন, তাঁরা এখন সরকারের টাকা লুট করছেন ।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "সামনে নির্বাচন আসছে । মানুষ যাতে তাঁদের দোষ না দেন, সেই ভয়েই নাটক করে ভিডিয়োর মাধ্যমে মানুষের কাছে মেনে নিচ্ছেন যে লুটপাট হচ্ছে । বাড়িতে বসে সময় কাটানোর জন্য ফেসবুকে, টুইটারে মাননীয় রাজ্যপালের সমালোচনা করছেন ।"
কোয়ারানটিন সেন্টার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি একদিন একটি কোয়ারানটিন সেন্টারের ভিড় দেখে সেই ভিডিয়ো আপলোড করেছিলাম । শাসকদল বলেছিল ভিডিয়োটি ভুয়ো । আমি নিজেও একটি কোয়ারানটিন সেন্টার খুলেছি । আমরা করে দেখাচ্ছি । যাঁরা পারেন না, তাঁরা BJP-কে আটকানোর জন্য গুণ্ডা এবং পুলিশ দিয়ে চেষ্টা করছেন । কিন্তু সেটা পারবেন না । রাজ্যপাল আজ পর্যন্ত যা যা করেছেন কিংবা করছেন তার একটিও সংবিধান-বহির্ভূত অথবা এক্তিয়ারের বাইরে কি না, তা প্রমাণ করে দেখানো হোক । পার্থবাবু চারজন উপাচার্যকে নিয়ে রাস্তায় ধরনা দিতে পারেন, সেটা অন্যায় নয় । কিন্তু রাজ্যপাল যদি কোনও উপাচার্যকে ডাকেন, তাহলে বলছে সেটা অন্যায় হয়েছে ।"