হাঁসখালি, 19 এপ্রিল : হাঁসখালি নাবালিকা গণধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তে ফের ঘটনাস্থলে সিবিআই আধিকারিকরা ৷ এদিন নির্যাতিতার বাড়িতে এবং শ্মশানে যায় সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল । শ্মশানে গিয়ে সেদিনের ঘটনার বিবরণ জানতে চান তদন্তকারীরা । পাশাপাশি ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তাঁরা (CBI in Hanskhali to probe into Gang Rape Case) ।
হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালি এবং তার বন্ধু প্রভাকর পোদ্দার । তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ।
ইতিমধ্যেই তাদের ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । নির্যাতিতার পরিবারের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করেছে সিবিআই । এছাড়াও অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা চাদর এবং শ্মশানের অবশিষ্ট পোড়া জামা-কাপড় ৷ সেগুলিও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দিল্লির ফরেনসিক দফতরে পাঠানো হয়েছে । সেই রিপোর্ট হাতে পেলে তদন্তের কাজ অনেকটা এগিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা ।
আরও পড়ুন : হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডে উদ্ধার হওয়া রক্তমাখা চাদর, জামা-কাপড় পাঠানো হল ফরেনসিক তদন্তে
এছাড়াও চাদরে পাওয়া রক্তের মধ্যে বীর্যের নমুনা রয়েছে কি না, ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানা সম্ভব। রক্তের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির বীর্যের নমুনা থাকলে তাও আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব । এক্ষেত্রে চাদরে পাওয়া রক্তের মধ্যে বীর্যের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে, অভিযুক্তদের ডিএনএ-র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। সেই ডিএনএ মিলে গেলে গণধর্ষণ প্রমাণ করা অনেকটাই সহজ হবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।