কলকাতা, 11 নভেম্বর: বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টা ৷ বিএসএফের হাতে আটক এক ভারতীয় চোরাকারবারী । ধৃতের থেকে 8টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে । বাজেয়াপ্ত সোনার বিস্কুটের ওজন 933.54 গ্রাম ৷ যার ভারতের বাজারে আনুমানিক মূল্য 56 লক্ষ 53 হাজার 742 টাকা ৷ ধৃত পাচারকারীর নাম গৌতম রাই । সে তেহট্টর বেতাইয়ের লালবাজার গ্রামের বাসিন্দা ।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফের 84 ব্যাটালিয়নের বেতাইয়ের বর্ডার ফাঁড়ির জওয়ানরা এই সোনা চোরাচালানের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে । বাজেয়াপ্ত সোনার বিস্কুট-সহ ধৃত চোরাকারবারীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাপড়ার কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে । সূত্রের খবর, নদিয়া তেহট্টের বেতাই-ফাঁড়ি এলাকার বিএসএফ জওয়ানরা একজন চোরাকারবারীকে বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের দিকে কাঁটাতারের উপর দিয়ে একটি প্যাকেট ছুঁড়ে ফেলতে দেখেন । প্যাকেটটি ফেলে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায় ওই চোরাকারবারী । তা দেখে জওয়ানরা তৎক্ষণাৎ সতর্ক হয়ে যায় । দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মোতায়েন থাকা টহলদলকে ঘটনাটি জানানো হয় ।
এদিকে, ভারতের দিক থেকে এক চোরাকারবারী প্যাকেটটি নিতে আসে । তাকে ধাওয়া করা হয় । সে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে । কিন্তু বিএসএফ সদস্যরা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে ফেলেন । ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে প্যাকেট থেকে 8টি সোনার বিস্কুট ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় । জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানায়, সে বাংলাদেশের মেহেরপুর থানার হরিরামপুর গ্রামের ইমতুল্লাহ শেখের বাবা সিরাজুল্লাহ শেখের থেকে বিস্কুটগুলি নিয়েছিল । এই বিস্কুটগুলি নদিয়া জেলার এক চোরাকারবারীকে হস্তান্তরের কথা ছিল তার । এর বিনিময়ে 1000 টাকা পেত সে । কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা তাকে সোনার বিস্কুট-সহ আগেই ধরে ফেলেন ।
বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি এ কে আর্য জওয়ানাদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন, "কুখ্যাত চোরাকারবারীরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প পরিমাণ অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে । কিংপিনদের দল সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত নয়, তাই তারা দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে। তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেন যে যদি সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের নজরে আসে, তবে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর 14419-এ তা জানাতে পারেন । এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর 9903472227 জারি করেছে, যাতে হোয়াটসঅ্যাপ সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত বার্তা বা ভয়েস বার্তা পাঠানো যেতে পারে । সোনা বাজেয়াপ্ত করার জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে একটি উপযুক্ত পুরস্কারের পরিমাণ দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় কঠোরভাবে গোপন রাখা হবে ।"
আরও পড়ুন: