কলকাতা, ২৫ নভেম্বর : করিমপুরের BJP প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনা । আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত করিমপুর । ঠিক তারপরই কমিশনে আসেন BJP নেতা মুকুল রায় । সঙ্গে শিশির বাজোরিয়া ।
করিমপুরে অশান্তির আঁচ আগেই পেয়েছিল কমিশন । এই কেন্দ্রেই স্পর্শকাতর বুথ সর্বাধিক । সেই সূত্রে ১০ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । ৯৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রেই মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনী । আজকের উপনির্বাচনে যে ৩০১ জন মাইক্রো অবজ়ারভার কাজ করছেন, তার বেশিরভাগটাই করিমপুরে । কিন্তু তারপরও ঠেকানো গেল না অশান্তি । প্রথমে থানা পাড়ায় BJP প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা । দেখানো হয় কালো পতাকা । পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা জয়প্রকাশকে একটি বুথ থেকে বেরিয়ে যেতে বলে ।
এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ পিপুলখোলায় একটি বুথে জয়প্রকাশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একদল লোক । এলোপাথাড়ি লাথি-কিল-চড় মারা হয় তাঁকে । রাস্তার পাশের ঝোপে পড়ে যান জয়প্রকাশ । ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন BJP প্রার্থী ।
এই ঘটনার পরেই কমিশনে আসেন মুকুল । কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময় BJP এই নেতা অভিযোগ করেন, বাংলায় কোনও গণতন্ত্র নেই ৷ এটা আরও একবার প্রমাণ হল ৷ আর বাংলায় গণতন্ত্রের নিধনকারী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর বিরুদ্ধে FIR হওয়া উচিত ৷ তাঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত ৷
পরে মুকুল রায় কথা বলেন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে । 3 আসনে উপনির্বাচনে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেন মুকুল রায় ৷ সেখানে তিনি বলেন, করিমপুরের BJP প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে তৃণমূলের 50 জন গুন্ডা ঘিরে ধরে মারধর করে৷ ঝোপে ঢেলে ফেলে দেয় ৷ অবিলম্বে নদিয়ার পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সরাতে হবে ৷