ETV Bharat / state

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার হ্যাটট্রিক শান্তিপুরের অনুপমের - হ্যাটট্রিক

পরপর তিনবার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুলে হ্যাটট্রিক করলেন নদিয়া শান্তিপুরের অনুপম সরকার ৷ 2018, 2019 এবং 2020 পরপর তিন বছর এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি ৷ করোনা আবহে 2020 সালের শংসাপত্র গত 12 জুলাই তাঁর হাতে এসে পৌঁছায় ৷

Anupam Sarkar a man from shantipur nadia three times Guinness Book of World Records holder
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার হ্যাটট্রিক শান্তিপুরের অনুপমের
author img

By

Published : Jul 14, 2021, 8:01 PM IST

শান্তিপুর, 14 জুলাই : শুরুটা হয়েছিল 2018 সালে ৷ সেবার প্রথম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছিলেন নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা অনুপম সরকার ৷ সেখান থেকে 2019 এবং 2020 সাল ৷ পরপর তিনবার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুললেন পেশায় বাচিক শিল্পী অনুপম সরকার ৷ আর এই হ্যাটট্রিক করলেন ভারতের শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিসৌধ অমর জওয়ান জ্যোতির প্রতিকৃত তৈরি করে ৷ 2 লক্ষ 27 হাজার 290টি দেশলাই কাঠি দিয়ে এই প্রতিকৃত তৈরি করেছেন তিনি ৷

কিন্তু, হঠাৎ করে জওয়ানদের স্মৃতি সৌধ কেন ? এ নিয়ে অনুপম জানিয়েছেন, 2019 সালে পুলওয়ামায় জওয়ানদের উপর আত্মঘাতী সন্ত্রাসহানা নাড়া দিয়েছিল অনুপমকে ৷ এমনকি চিনের সঙ্গে চলতে থাকা ঠান্ডাযুদ্ধ অশান্ত করে তুলেছিল তাঁকে ৷ তাই ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতে অমর জওয়ান জ্য়োতি স্মৃতিসৌধের রেপ্লিকা বা প্রতিকৃত তৈরি করেন অনুপম ৷ আর সেই প্রতিকৃত তৈরির জন্য দেশলাই কাঠি বেছে নেওয়ার পিছনেও রয়েছে এক অনন্য ভাবনা ৷ অনুপম বলেন, ‘‘সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যুর মূল কারণ গান পাউডার বা বারুদ ৷ তাই তাঁদের সম্মানে বারুদকে ব্য়বহার করতে চেয়েছিলাম ৷ সেই ভাবনা থেকেই দেশলাই কাঠিকে বেছে নিয়েছিলাম ৷’’

anupam-sarkar-a-man-from-shantipur-nadia-three-times-guinness-book-of-world-records-holder
তিনটি শংসাপত্র

মোট 2 লক্ষ 27 হাজার 290টি দেশলাই কাঠি দিয়ে অমর জওয়ান জ্য়োতি স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃত তৈরি করেছিলেন অনুপম ৷ একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এই গণনা করা হয়েছিল ৷ এর আগে 2018 সালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির বার্তা দিতে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চেন তৈরি করেছিলেন তিনি ৷ বিশ্বের ধর্মের মানুষকে একসূত্র বাঁধার বার্তা দিয়ে ওই চেন তৈরি করেন শান্তিপুরের বাচিক শিল্পী ৷

আরও পড়ুন : একবারে 10 সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, দাবি দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলার

এর পর 2019 সালে দ্বিতীয়বার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছিলেন অনুপম সরকার ৷ যেখানে তিনি আপেলের বীজ দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মালা তৈরি করেন ৷ পোল্যান্ডের এক শিল্পীর রেকর্ড তিনি এখানে ভেঙে ছিলেন ৷ জনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ নেন তিনি ৷ অনুপম জানিয়েছেন, আপেল মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ৷ কিন্তু, আপেলের বীজ মানুষের শরীরের ক্ষতি করে ৷ কারণ আপেলের বীজে রয়েছে ক্ষতিকারক সায়নাইট ৷ যা ভুলবশত মানুষের শরীরে গেলে ক্ষতিকারক হতে পারে ৷ তাই জনস্বাস্থ্য সচেতনতায় আপেলের বীজ দিয়ে মালা তৈরি করেছিলেন তিনি ৷

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার হ্যাটট্রিক শান্তিপুরের অনুপমের

আরও পড়ুন : অনুচিত্রে গিনেসের স্বপ্ন ছুঁতে চান অশোকনগরের বাসুদেব

তবে, দেশলাই কাঠি দিয়ে অমর জওয়ান জ্য়োতির প্রতিকৃত তৈরি করে 2020 সালে অনুপম সরকার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তোলেন ৷ কিন্তু, করোনা তাঁর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ 2020 সালের অগস্ট মাসে তিনি জেলা প্রশাসনের সাহায্যে নিজের আবেদনপত্র গিনেসবুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিসে পাঠান ৷ সেখানে বিশেষ পদ্ধতিতে তাঁর তৈরি শিল্পকলায় ব্যবহার হওয়া দেশলাই কাঠি গোনা হয় এবং নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাঁর নাম তৃতীয়বারের জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ওঠে ৷ কিন্তু, করোনার কারণে সেই সম্মান তাঁর কাছে পৌঁছতে 11 মাস দেরি হয়ে গেল ৷ রথের দিন অর্থাৎ 12 জুলাই পোস্টের মাধ্যমে তাঁর হাতে এসে পৌঁছেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তিন নম্বর শংসাপত্রটি ৷

শান্তিপুর, 14 জুলাই : শুরুটা হয়েছিল 2018 সালে ৷ সেবার প্রথম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছিলেন নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা অনুপম সরকার ৷ সেখান থেকে 2019 এবং 2020 সাল ৷ পরপর তিনবার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুললেন পেশায় বাচিক শিল্পী অনুপম সরকার ৷ আর এই হ্যাটট্রিক করলেন ভারতের শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিসৌধ অমর জওয়ান জ্যোতির প্রতিকৃত তৈরি করে ৷ 2 লক্ষ 27 হাজার 290টি দেশলাই কাঠি দিয়ে এই প্রতিকৃত তৈরি করেছেন তিনি ৷

কিন্তু, হঠাৎ করে জওয়ানদের স্মৃতি সৌধ কেন ? এ নিয়ে অনুপম জানিয়েছেন, 2019 সালে পুলওয়ামায় জওয়ানদের উপর আত্মঘাতী সন্ত্রাসহানা নাড়া দিয়েছিল অনুপমকে ৷ এমনকি চিনের সঙ্গে চলতে থাকা ঠান্ডাযুদ্ধ অশান্ত করে তুলেছিল তাঁকে ৷ তাই ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতে অমর জওয়ান জ্য়োতি স্মৃতিসৌধের রেপ্লিকা বা প্রতিকৃত তৈরি করেন অনুপম ৷ আর সেই প্রতিকৃত তৈরির জন্য দেশলাই কাঠি বেছে নেওয়ার পিছনেও রয়েছে এক অনন্য ভাবনা ৷ অনুপম বলেন, ‘‘সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যুর মূল কারণ গান পাউডার বা বারুদ ৷ তাই তাঁদের সম্মানে বারুদকে ব্য়বহার করতে চেয়েছিলাম ৷ সেই ভাবনা থেকেই দেশলাই কাঠিকে বেছে নিয়েছিলাম ৷’’

anupam-sarkar-a-man-from-shantipur-nadia-three-times-guinness-book-of-world-records-holder
তিনটি শংসাপত্র

মোট 2 লক্ষ 27 হাজার 290টি দেশলাই কাঠি দিয়ে অমর জওয়ান জ্য়োতি স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃত তৈরি করেছিলেন অনুপম ৷ একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এই গণনা করা হয়েছিল ৷ এর আগে 2018 সালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির বার্তা দিতে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চেন তৈরি করেছিলেন তিনি ৷ বিশ্বের ধর্মের মানুষকে একসূত্র বাঁধার বার্তা দিয়ে ওই চেন তৈরি করেন শান্তিপুরের বাচিক শিল্পী ৷

আরও পড়ুন : একবারে 10 সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, দাবি দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলার

এর পর 2019 সালে দ্বিতীয়বার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছিলেন অনুপম সরকার ৷ যেখানে তিনি আপেলের বীজ দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মালা তৈরি করেন ৷ পোল্যান্ডের এক শিল্পীর রেকর্ড তিনি এখানে ভেঙে ছিলেন ৷ জনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ নেন তিনি ৷ অনুপম জানিয়েছেন, আপেল মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ৷ কিন্তু, আপেলের বীজ মানুষের শরীরের ক্ষতি করে ৷ কারণ আপেলের বীজে রয়েছে ক্ষতিকারক সায়নাইট ৷ যা ভুলবশত মানুষের শরীরে গেলে ক্ষতিকারক হতে পারে ৷ তাই জনস্বাস্থ্য সচেতনতায় আপেলের বীজ দিয়ে মালা তৈরি করেছিলেন তিনি ৷

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার হ্যাটট্রিক শান্তিপুরের অনুপমের

আরও পড়ুন : অনুচিত্রে গিনেসের স্বপ্ন ছুঁতে চান অশোকনগরের বাসুদেব

তবে, দেশলাই কাঠি দিয়ে অমর জওয়ান জ্য়োতির প্রতিকৃত তৈরি করে 2020 সালে অনুপম সরকার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তোলেন ৷ কিন্তু, করোনা তাঁর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ 2020 সালের অগস্ট মাসে তিনি জেলা প্রশাসনের সাহায্যে নিজের আবেদনপত্র গিনেসবুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিসে পাঠান ৷ সেখানে বিশেষ পদ্ধতিতে তাঁর তৈরি শিল্পকলায় ব্যবহার হওয়া দেশলাই কাঠি গোনা হয় এবং নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাঁর নাম তৃতীয়বারের জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ওঠে ৷ কিন্তু, করোনার কারণে সেই সম্মান তাঁর কাছে পৌঁছতে 11 মাস দেরি হয়ে গেল ৷ রথের দিন অর্থাৎ 12 জুলাই পোস্টের মাধ্যমে তাঁর হাতে এসে পৌঁছেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তিন নম্বর শংসাপত্রটি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.