নবদ্বীপ, 19 জুলাই: নিখোঁজ মধু ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হল মেঝের নীচ থেকে। ঘটনায় অভিযুক্ত মন্টু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। গত 9 জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন পেশায় মধু ব্যবসায়ী সফিউল মণ্ডল। মৃত ওই ব্যবসায়ী নদিয়ার নবদ্বীপ থানার মিয়াপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ সেখানেই তিনি মধুর ব্যবসা করতেন। তাঁর বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বাদুড়িয়া থানা এলাকায়। প্রতিবেশী সম্পর্কে এক ভাগ্নে তথা অভিযুক্ত মন্টু মণ্ডল সফিউলের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসে। তারপরেই দু'জনের মধ্যে নারী গঠিত বিষয় নিয়ে বচসা শুরু হয়।
মৃত সফিউল মণ্ডলের বাবা বলেন, "অভিযুক্তর কাছ থেকে আমার ছেলের বাইকের কাগজ-সহ প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং একাধিক ডকুমেন্টস পাওয়া যায়। এতেই সন্দেহ বাড়ে আমাদের ৷ গত রবিবার থেকে সফিউল নিঁখোজ ৷ কিছুতেই ওর খোঁজ পাচ্ছিলাম না ৷ আমরা পুলিশকে জানায় ৷ ওকে পুলিশ গ্রেফতার করে ৷" মন্টুকে গ্রেফতারের পর পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুরো ঘটনা স্বীকার করে নেয়।
বচসা থেকেই বিপত্তি! মন্টু বাঁশ দিয়ে সফিকুলের মাথায় মেরে খুন করে ঘরের মেঝের নীচে পুঁতে প্লাস্টার করে দেয়। মঙ্গলবার সফিকুলের পরিবার নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতেই পুলিশ মন্টু গ্রেফতার করে। আজ, বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ তোলা হয় ঘরের মেঝের নীচ থেকে। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশ আধিকারিক মশিউর রহমান বলেন, "ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আমরা আজ আদালতে তুলেছি এবং নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও করেছি।" পাশাপাশি তিনি জানান, পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে খুনের আসল কারণ ৷
আরও পড়ুন: মেলায় গিয়ে বিবাদ, স্ত্রী'কে কুপিয়ে খুন করে আত্মসমপর্ণ স্বামীর