ETV Bharat / state

Panchayat Election 2023: রণক্ষেত্র ডোমকলে তৃণমূল নেতার কোমরে মিলল পিস্তল, মনোনয়নের দ্বিতীয়দিনেও উত্তাল রাজ্যের একাধিক জায়গা - মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে ঘিরে রণক্ষেত্রের

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনও অশান্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ডোমকল এবং আসানসোলের বারাবনি এলাকা ৷ জমি ছাড়তে নারাজ দু'পক্ষই। দুই জায়গাতেই পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে বামেরা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ।

Etv Bharat
মনোনয়নের দ্বিতীয়দিনেও অশান্ত রাজ্য
author img

By

Published : Jun 10, 2023, 3:43 PM IST

Updated : Jun 10, 2023, 6:07 PM IST

মনোনয়নের দ্বিতীয়দিনেও অশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা

ডোমকল ও আসানসোল, 10 জুন: পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে দ্বিতীয়দিনও অশান্তি অব্যাহত ৷ শুক্রবার থেকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে ৷ আর ওইদিনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীর ৷ আর দ্বিতীয়দিনও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না ৷ মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবেদের ডোমকল এবং আসানসোলের বারাবনি এলাকা ৷ জমি ছাড়তে নারাজ দু'পক্ষই। যার জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দুই এলাকা ৷ আর ডোমকলে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লার কোমর থেকে পিস্তল বের করে নিতে দেখা গেল পুলিশ অফিসারকে ৷ আর যা নিয়ে ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ৷

শনিবার মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আসানসোলের বারাবনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিপিএম প্রার্থীদের কাছ থেকে ডিসিআর ফর্ম ছিনিয়ে নেওয়া হয় ৷ তবে এদিন অশান্তি যে ছড়াতে পারে তার আঁচ আগে থেকেই মিলেছিল। এদিন সিপিএমের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই বাধার মুখে পড়ে সিপিএমও পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মী দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বারাবনি ব্লক অফিসে।

অন্যদিকে, শুক্রবার খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুনের পর মুর্শিদাবাদে এই মুহূর্তে সব এলাকাই কার্যত স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। নির্বাচন ঘোষণার পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ডোমকল ব্লকের ইসলামপুর। শুক্রবারের পর অশান্তির চেহারা আরও বড় আকার ধারণ করে শনিবার। অভিযোগ, সিপিএম কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। শাসক দলের কর্মীরা রীতিমতো কিল-ঘুষি মারতে থাকে বলেও অভিযোগ ৷ এমনকী ব্লক অফিস থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সিপিএম কর্মীদের ৷ কোনওরকমে পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। তবে পালটা সেখানেও ঘুরে দাঁড়ায় সিপিএম কর্মীরা ৷ শুরু হয় এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ ৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায় ৷ আর সেই উত্তেজনার অবস্থাতেই খোদ তৃণমূল নেতার কোমড় থেকে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র ৷ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ওই নেতাকে ৷

অভিযোগ, শুক্রবার ডোমকল বিডিও অফিসে ডিসিআর কাটতে গিয়ে সিপিএম কর্মীরা লাঠি হাতে আক্রমণ করে তৃণমূল কর্মীদের। ভাঙা হয় বাইক, ক্যাম্পে থাকা চেয়ার টেবিল। একই ছবি ধরা পড়েছে বারাবনি ব্লক অফিসেও ৷ শুক্রবার মনোনয়নের জন্য ডিসিআর ফর্ম তুলতে গিয়েছিল সিপিএম প্রার্থীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের থেকে ডিসিআর ফর্ম কেড়ে নেওয়া হয়। শনিবারও সিপিএম প্রার্থীদের ফর্ম তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর বাধা দিতেই প্রতিহত করে সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকলেও পুলিশের ভূমিকা ছিল নেহাতই দর্শকের মতো। এমনই অভিযোগ করছেন সিপিআইএম নেতারা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখে কমবাট ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ। যদিও দু'পক্ষকে খুব দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে দেওয়ার কারণে বড় ধরণের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাকে সিভিক ভলান্টিয়াররা থাকবেন পঞ্চায়েত ভোটে, অভিযোগ শুভেন্দুর

সিপিএমের বারাবনি এরিয়া কমিটির সম্পাদক তপন দাস জানান, শুক্রবার তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। শনিবারও একইভাবে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের মনোনয়নের ফর্ম তুলতে বাধা দেয়। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলেও জানায় সিপিএম। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ। যদিও বাধা দেওয়ার সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সিপিআইএম নেতৃত্ব নাটক করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাদের কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া হয়নি, উপরন্ত সিপিএম কর্মীরাই তাদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করে উত্ত্যক্ত করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

মনোনয়নের দ্বিতীয়দিনেও অশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা

ডোমকল ও আসানসোল, 10 জুন: পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে দ্বিতীয়দিনও অশান্তি অব্যাহত ৷ শুক্রবার থেকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে ৷ আর ওইদিনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীর ৷ আর দ্বিতীয়দিনও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না ৷ মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবেদের ডোমকল এবং আসানসোলের বারাবনি এলাকা ৷ জমি ছাড়তে নারাজ দু'পক্ষই। যার জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দুই এলাকা ৷ আর ডোমকলে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লার কোমর থেকে পিস্তল বের করে নিতে দেখা গেল পুলিশ অফিসারকে ৷ আর যা নিয়ে ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ৷

শনিবার মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আসানসোলের বারাবনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিপিএম প্রার্থীদের কাছ থেকে ডিসিআর ফর্ম ছিনিয়ে নেওয়া হয় ৷ তবে এদিন অশান্তি যে ছড়াতে পারে তার আঁচ আগে থেকেই মিলেছিল। এদিন সিপিএমের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই বাধার মুখে পড়ে সিপিএমও পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মী দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বারাবনি ব্লক অফিসে।

অন্যদিকে, শুক্রবার খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুনের পর মুর্শিদাবাদে এই মুহূর্তে সব এলাকাই কার্যত স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। নির্বাচন ঘোষণার পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ডোমকল ব্লকের ইসলামপুর। শুক্রবারের পর অশান্তির চেহারা আরও বড় আকার ধারণ করে শনিবার। অভিযোগ, সিপিএম কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। শাসক দলের কর্মীরা রীতিমতো কিল-ঘুষি মারতে থাকে বলেও অভিযোগ ৷ এমনকী ব্লক অফিস থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সিপিএম কর্মীদের ৷ কোনওরকমে পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। তবে পালটা সেখানেও ঘুরে দাঁড়ায় সিপিএম কর্মীরা ৷ শুরু হয় এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ ৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায় ৷ আর সেই উত্তেজনার অবস্থাতেই খোদ তৃণমূল নেতার কোমড় থেকে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র ৷ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ওই নেতাকে ৷

অভিযোগ, শুক্রবার ডোমকল বিডিও অফিসে ডিসিআর কাটতে গিয়ে সিপিএম কর্মীরা লাঠি হাতে আক্রমণ করে তৃণমূল কর্মীদের। ভাঙা হয় বাইক, ক্যাম্পে থাকা চেয়ার টেবিল। একই ছবি ধরা পড়েছে বারাবনি ব্লক অফিসেও ৷ শুক্রবার মনোনয়নের জন্য ডিসিআর ফর্ম তুলতে গিয়েছিল সিপিএম প্রার্থীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের থেকে ডিসিআর ফর্ম কেড়ে নেওয়া হয়। শনিবারও সিপিএম প্রার্থীদের ফর্ম তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর বাধা দিতেই প্রতিহত করে সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকলেও পুলিশের ভূমিকা ছিল নেহাতই দর্শকের মতো। এমনই অভিযোগ করছেন সিপিআইএম নেতারা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখে কমবাট ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ। যদিও দু'পক্ষকে খুব দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে দেওয়ার কারণে বড় ধরণের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাকে সিভিক ভলান্টিয়াররা থাকবেন পঞ্চায়েত ভোটে, অভিযোগ শুভেন্দুর

সিপিএমের বারাবনি এরিয়া কমিটির সম্পাদক তপন দাস জানান, শুক্রবার তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। শনিবারও একইভাবে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের মনোনয়নের ফর্ম তুলতে বাধা দেয়। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলেও জানায় সিপিএম। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ। যদিও বাধা দেওয়ার সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সিপিআইএম নেতৃত্ব নাটক করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাদের কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া হয়নি, উপরন্ত সিপিএম কর্মীরাই তাদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করে উত্ত্যক্ত করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

Last Updated : Jun 10, 2023, 6:07 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.