ভরতপুর, 26 ডিসেম্বর : পুলিশকে হুমকি দিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ৷ তাঁর এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ কর্মিসভায় তিনি বলছেন, "আজ পরিষ্কার করে আমি ওসিকে বলে যাব যে, আমি বিধায়ক ৷ আমিই শেষ কথা বলব ৷ ওসি থাকার ইচ্ছে থাকলে দালালি করা বন্ধ করো ৷" (TMC MLA Humayun Kabir controversial video goes viral as he threatens OC) ৷ ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
বিতর্ক আর হুমায়ুন কবীর কার্যত সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে । বেফাঁস মন্তব্য করে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক । এমনকি আদালতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য করে দল থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন তিনি । এবার পুলিশ কর্মীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের সংবাদ শিরোনামে তৃণমূল বিধায়ক ।
শনিবার ভরতপুরে দলীয় কার্যালয়ে ওসিকে হুমকি দিয়ে সমর্থকদের হাততালি কোড়ান হুমায়ুন কবীর । তিনি বলেন, "কেউ পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে এলে আমি ছেড়ে কথা বলব না । তাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হলে, তার জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে । আমি বিধায়ক, আমিই এখানে শেষ কথা বলব ।" বিধায়ক জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে নির্দিষ্ট করে কোনও নির্দেশ দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখানকার অবাঞ্চিত লোকের সঙ্গে, প্রশাসনের সঙ্গে আপস করবেন না তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, এঁরা দল বিরোধী কাজ করেছেন ৷
আরও পড়ুন : Humayun Kabir: হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্যে রাজনৈতিকমহলে ঝড়
দলের প্রাক্তন যুব সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে টারজানকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, "ওসিকে বলো, আমি বলেছি দালালি বন্ধ করতে ৷ তা নাহলে, তোমাকে বাধ্য করব এখান থেকে তল্পিতোল্পা গোটাতে ৷" শুধু এখানেই থামেননি তিনি ৷ রীতিমতো থানার সামনে গিয়ে বসার হুমকি দিয়ে বিধায়ক বলেন, "টেবিলের উপর পা দিয়ে বসব ৷ তখন বুঝতে পারবে হুমায়ুন কবীর কী জিনিস ৷ অটোমেটিক তুমি এখান থেকে ছেড়ে চলে যাবে ৷" তিনি আরও বলেন, "তখন বলবে যে, আমি ভাটপাড়ায় বেশ ছিলাম ৷ সেখানেই চলে যাই ৷"
এটা যেন তাঁকে করতে কেউ বাধ্য না করে, কারণ, তিনি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না ৷ ভোটার, অঞ্চলকর্মী কারও জন্য কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই ৷ কিন্তু তাঁর কথায়, "তিন জন নেতৃত্ব, অফিসিয়ালি স্ট্যাম্প নিয়ে দলকে হারানোর চেষ্টা করেছে ৷" তাই তাঁদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা নয়, সাফ কথা হুমায়ুন কবীরের ৷
এই মন্তব্যে ফের শোরগোল পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে । যদিও জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি বলে জানিয়েছে ।