ফরাক্কা, 4 নভেম্বর: স্কুলে আসতে দেরি, লাটে উঠেছে পড়াশুনা । এই অভিযোগে ছ'জন শিক্ষককে শো-কজ করেন ফরাক্কা চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপান্বিতা কুন্ডু ৷ এরপরেই তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সভাপতির বিরুদ্ধে । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
জানা গিয়েছে, বেলা 11টা বাজলেও স্কুলে পৌঁছন না কোনও শিক্ষক । হঠাৎ স্কুলে হানা দিয়ে দেরিতে আসার জন্য শুক্রবার ফরাক্কার 35 নম্বর শঙ্করপুর প্রাথমিক স্কুলের 6 জন শিক্ষককে শো-কজ করেন স্কুল পরিদর্শক দীপান্বিতা কুন্ডু । শো-কজের তালিকায় রয়েছেন শঙ্করপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাইমুর ইসলাম, সহকারী শিক্ষক সন্দীপ দাস, প্রশান্ত মারডি, মিঠুন দাস, লিপিকা মৃদ্ধা এবং প্যারাটিচার ভগীরথ সরকার ।
আগামী 9 তারিখের মধ্যেই স্কুল পরিদর্শকের অফিসে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত শিক্ষকদের । স্কুল পরিদর্শকের পক্ষ থেকে শো-কজ নোটিশে বলা হয়েছে, স্কুলে 1100 ছাত্রছাত্রী থাকলেও প্রার্থনার সময়ে মাত্র 55 জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল । ছিলেন না বেশিরভাগ শিক্ষকই । শুধু তাই নয়, 2023 বর্ষের শেষ হতে চললেও বেশিরভাগ পড়ুয়ার সিলেবাস সম্পর্কিত কোনও জ্ঞানই নেই । তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমত রিডিং পড়তে পারছে না । প্রি-প্রাইমারি স্তরের ছাত্র ছাত্রীরা 1 থেকে 10 পর্যন্ত বাংলা কিংবা ইংরেজিতে বলতে পারে না । স্কুলের এই বেহাল দশা নিয়েই কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্কুল পরিদর্শক দীপান্বিতা কুন্ডু ।
আরও পড়ুন: বিডিও অফিসে স্কুল পরিদর্শককে মারধরের অভিযোগ শাসকদলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে
এ দিকে স্কুলের বেহাল দশার পাশাপাশি অনুপস্থিতি নিয়ে শিক্ষকদের শো-কজ করতেই হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করে স্কুল পরিদর্শককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের ফরাক্কা ব্লক সভাপতি মিঠুন দাসের বিরুদ্ধে । এসআইকে উদ্দেশ্য করে ওই শিক্ষক ম্যাসেজে লেখেন, "আপনি পাওয়ার দেখাচ্ছেন? ভুলে যাচ্ছেন আমি শাসকদলের একজন সভাপতি ৷" যদিও হুমকির বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন মিঠুন ৷ তাঁর দাবি, "সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ । আমি নিয়মিত স্কুলে আসি। কোনওরকম হুমকি আমি দিইনি । আমি সৌজন্যতার খাতিরে সম্মানের কথা বিবেচনা করে হোয়াটসঅ্যাপে আমার বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম।"