সামশেরগঞ্জ, 21 মে: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সভায় যোগ দেওয়ার আগেই কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল সামশেরগঞ্জ এলাকায় । একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর ও পালটা মারধরের অভিযোগে সরব স্থানীয় কংগ্রেস এবং তৃণমূল নেতৃত্ব । ঘটনায় দুই দলের মোট সাতজন আহত হয়েছে বলে উভয় দলের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছে । আগামিকাল সোমবার এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস ।
জানা গিয়েছে, অধীর চৌধুরীর জনসভায় যাওয়ার পথে তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্তি ছড়ায় এলাকায় ৷ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করার পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে । তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের দলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকেও মারধর করে কংগ্রেস কর্মীরা । এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা ৷ যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব ।
জনসভার উদ্দেশ্যে যাওয়া কংগ্রেস কর্মীদের টোটো ভাঙচুরের অভিযোগের পাশাপাশি তিনজন কংগ্রেস কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দোগাছি অঞ্চলের কংগ্রেস সভাপতি সহিদুল হক । রবিবার বিকেলে সুতির বাউড়িপুনি এলাকায় জনসভা ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর । সামশেরগঞ্জ হয়ে দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তা দিয়েই কংগ্রেস কর্মীদের জনসভায় যাওয়ার পথেই ঘটে এই ঘটনা । সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে জয় থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে নিজের জেলায় ফের দাঁত বসাতে মরিয়া অধীর চৌধুরী ।
জেলায় থাকলে প্রায় রোজই জনসভা বা যোগদান সভার মতো কর্মসূচিতে থাকছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি । তেমনই এদিন বিকেলে সুতি বিধানসভায় জনসভা ছিল তাঁর । তার আগেই ভাসাইপাইকর অঞ্চলের দোগাছিতে দুই দলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যে সামশেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ সেই সঙ্গে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছে তারা ।
আরও পড়ুন: কাঁথি পৌরসভার দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সরব কুণাল