সামশেরগঞ্জ, 22 ডিসেম্বর: মৃত স্বামীর দেহের দাবি নিয়ে তিন স্ত্রী’র কলহ ৷ যদিও দেহের থেকে মৃত শিক্ষকের সম্পত্তি নিয়ে কৌতুহল বেশি ছিল ৷ ঘটনা সামশেরগঞ্জের রতনপুর স্টেশন মোড় এলাকার ঘটনা ৷ এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃতদেহ পেলেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী । মৃত ওই শিক্ষকের নাম রাজিন্দর মাহাতো (58) ৷ বিহারের মধুবনী জেলার বলরামপুর থানা বাসিন্দা ওই শিক্ষক ৷ প্রায় 30 বছর ধরে সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন ।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রথম পক্ষের স্ত্রী সঙ্গীতা মাহাতোর বাড়ি বিহারের মধুবনি জেলার জঞ্জারপুরে। তাঁদের এক মেয়ে এবং দুই ছেলেও রয়েছে । দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ডলি মাহাতোর বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাসুদেবপুর । তাঁরও এক সন্তান রয়েছে । বর্তমানে খোরপোষের মামলা চলছে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে । এরমধ্যেই শিক্ষকতা করতে গিয়ে পরিচয় হয় সামশেরগঞ্জ ব্লকে ঘোষপাড়ার বাসিন্দা বন্দনা সাহার সঙ্গে ৷ কয়েকবছর আগে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন ওই শিক্ষক ৷ তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী বন্দনা সাহার সঙ্গেই স্থানীয় রতনপুর স্টেশন মোড় এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে শিক্ষক রাজেন্দর মাহাতো থাকতেন । বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল ৷ বুধবার রাতে মৃত্যু হয় রাজিন্দর মাহাতোর । তারপরই সামনে আসে সমস্ত ঘটনা ৷
দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকলেও মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন অন্য স্ত্রীরা । সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে প্রথম দ্বিতীয় স্ত্রী‘র সঙ্গে তৃতীয় স্ত্রীর বচসা বাঁধে । তাঁকে সবকিছু লিখে দিয়েছে বলেও দাবি করেন ছোট স্ত্রী । যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী । শিক্ষকের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিহার থেকে ছুটে আসেন প্রথম পক্ষের স্ত্রীও । তিনজন স্ত্রীর এই বচসা থানা পর্যন্ত গড়ায় । অবশেষে থানায় পুলিশি হস্তক্ষেপে মৃত শিক্ষকের মা ও পরিবারের আবেদনে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় দেহ ৷ বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে শিক্ষক রাজেন্দর মাহাতোর মৃতদেহ নিয়ে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷
আরও পড়ুন: