মুর্শিদাবাদ, 31 অগস্ট: সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলেও বর্তমানে আস্তাকুঁড়ে পরিণত হয়েছে কুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র । বাইরে থেকে দেখে কোনওভাবেই বোঝার উপায় নেই সেটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র । চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে জঞ্জাল ৷ তবে ভিতরে যাওয়ার পর অবশ্য এক অন্য চিত্র চোখে পড়ে । শুধু আ্রবর্জনা নয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে তৈরি হয়েছে বেআইনি টোটো স্ট্যান্ড ৷ তাতে আরও সমস্যায় পড়েছন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷
প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের দাবি, এক সময় শয্যা ছিল ও পরিষেবাও ভালো ছিল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷ এখন সে চিত্র উলটো ৷ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা সুদীপ প্রামাণিকের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে দীর্ঘদিন ধরে নোংরা ফেলা হয় ৷ কোনও বাউন্ডারি না থাকায় সারাক্ষণ গেট খোলা থাকে ৷ আশেপাশের মানুষজনও আবর্জনার স্তূপ বানিয়েছেন । আর এখানে চিকিৎসা পরিষেবা আগের মতো হয় না ৷ তাই বেশি কোনও সমস্যা হলে কান্দি বা বড়ঞা যেতে হয় চিকিৎসার জন্য ।
ওই ব্যক্তির কথার রেশ ধরেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা এক রোগী মীর সারেক আলি বলেন, "আগে সবসময়েই চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷ এখন তা নেই বললেই চলে ৷ চিকিৎসার জন্য 8 কিলোমিটার দূরে যেতে হয় ৷" এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ড: আব্দুল আজিজ জানান, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেডের ব্যবস্থা অনেকদিন থেকেই নেই । নোংরা আবর্জনাগুলো পারিপার্শ্বিক ব্যক্তিদের ফেলা । বাইরে থেকে অনেকে এখানে আসেন । নিরাপত্তা কর্মীও নেই দীর্ঘদিন ৷ হাসপাতালের সামনে যে আবর্জনার যদির ডিসপোজের ব্যবস্থা করা হয় তবে ভালো হবে । এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে ৷
বড়ঞার বিএমওএইচ সৌমিক দাস জানান, আউটডোরে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এমনকি স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করা হয়। নিয়মিত সেখানে চিকিৎসক বসেন ৷ ওষুধ দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে, নার্সিং স্টাফও রয়েছে ৷ সমস্যা যেটুকু আছে তার সমাধানের চেষ্টা করা হবে । বাউন্ডারি করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরিষেবা না-পেয়ে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর, পরিস্থিতি সামাল কেন্দ্রীয় বাহিনীর
বড়ঞা ব্লকে বর্তমানে চারটি পিএসসি, 44টি সাব সেন্টার রয়েছে ও বড়ঞা মহকুমা হাসপাতাল আছে । সবমিলিয়ে রোগী ও তাদের পরিবারের বক্তব্য, কুলি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পুর্নগঠন করে যদি সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ভালো হবে । দিবারাত্রি পরিষেবা চালু হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপকার হবে ৷