বহরমপুর, 18 জানুয়ারি: ফের শ্যুট আউট মুর্শিদাবাদে। গভীর রাতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালালোর অভিযোগ দুষ্কতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। আহত তৃণমূল নেতার নাম মনোজকুমার মণ্ডল। তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জখম তৃণমূল নেতা পদ্মা চরের মাছ ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত 12টা নাগাদ রানিনগর থানার 51 নম্বর বর্ডারপাড়া এলাকায় । ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে । কারণ দুষ্কৃতীরা সকলেই এলাকায় বিজেপি সমর্থক হিসাবে চিহ্নিত বলে। যদিও ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ রয়েছে নাকি ব্যবসা সংক্রান্ত যোগ, তা এখনও স্পষ্ট নয় । অভিযুক্তদের শানাক্ত করে রানিনগর থানায় চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দু'জন ইসলামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা । অপর দু'জন রানিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর । পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত করছে । তবে ঘটনার এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে ।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে একের পর এক শ্যুট আউটের ঘটনায় চরম উদ্বেগ ছড়িয়েছে । এগারো দিন আগে বহরমপুরে প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়েছিল । সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় সত্যেন চৌধুরী নামে এক তৃণমূল নেতার । তদন্তে নেমে তিনজনকে শনাক্ত করা হলেও এখনও পর্যন্ত একজনকে ধরতে পেরেছে পুলিশ । বাকি দু'জন এখনও অধরা। এই ঘটনার পর পুলিশি ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শ্যুটআউটের ঘটনা মুর্শিদাবাদে ।
জানা গিয়েছে, জখম মনোজকুমার মণ্ডল পদ্মাপাড়ে এক মাছের আড়তের হিসাব দেখার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করতেন । বুধবার রাতে বাড়ি ফিরে ঘুমোতে যান । রাত বারোটা নাগাদ চার দুষ্কৃতী এসে তাঁর বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন । মনোজের স্ত্রী দরজা খুলতেই তাঁকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এবং এরপর মনোজকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা । তিনটে গুলি গিয়ে লাগে মনোজের গায়ে ৷ তাতে গুরুতর জখম হন তিনি ৷ এরপরই মোটরবাইকে চেপে এলাকা ছাড়ে চার দুষ্কৃতী । মনোজ মণ্ডলকে এরপর উদ্ধার করে গোধনপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয় । চিকিৎসকরা তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন । বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার করে মনোজের শরীর থেকে গুলিবার করার চেষ্টা চলছে ।
আরও পড়ুন: