বড়ঞা (মুর্শিদাবাদ), 17 এপ্রিল: "ব্রেন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ! তাই ছাদ থেকে পুকুরে জোড়া মোবাইল ছুড়ে ফেলেছিলেন !" মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি সাধন প্রামাণিক ৷ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সিবিআইয়ের ডাকেই বিধায়কের বাড়িতে আসেন তিনি ৷ পুকুর থেকে জোড়া মোবাইল উদ্ধার করতে শ্রমিক নিয়োগ করেন ৷ তারই মধ্যে তাঁকে দেখে জীবনকৃষ্ণ না কি বলেছিলেন, "যেভাবে সম্ভব হয়, মোবাইল দু'টো খুঁজে দাও ৷"
গত শুক্রবার দুপুরে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে পৌঁছন সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা ৷ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিধায়ককে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ অবশেষে সোমবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করার খবর প্রকাশ্যে আসে ৷ তার মাঝে দীর্ঘ সময় ধরে চলে নাটক ! শোনা গিয়েছিল, সিবিআই অভিযান চলাকালীনই নিজের দু'টি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ ৷ সেই মোবাইল দু'টি খুঁজে পেতে অনেক কসরত করতে হয় ৷ আর সেই কাজে সাধনের সাহায্য নেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ৷
সাধন জানান, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কেউ তাঁকে ফোন করে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ৷ জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে সাধন পৌঁছনোর পর তাঁকে সিবিআই আধিকারিকরা বলেন, "পুকুর থেকে মোবাইল খুঁজে বের করতে হবে ৷ আপনার পঞ্চায়েত এলাকায় এসেছি ৷ আপনি আমাদের সাহায্য করুন ৷" সাধনকে 'উঁচুতলার নির্দেশ'ও দেখান গোয়েন্দারা ৷ তবে, সেই নির্দেশনামা তাঁর হাতে দেওয়া হয়নি ৷ সাধন জানিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকদের নির্দেশ মতো নিজেই ফোনে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি ৷ সেই শ্রমিকরা পুকুরের জল ছেঁচার কাজ শুরু করেন ৷ দু'টি মোবাইল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ছুটি পাননি ৷
আরও পড়ুন: কেষ্টর কাছেই দুর্নীতিতে হাতেখড়ি জীবনকৃষ্ণের ! দাবি অধীরের
কিন্তু, প্রশ্ন হল, জীবনকৃষ্ণ হঠাৎ মোবাইলগুলি পুকুরে ফেললেন কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে সাধন দাবি করেন, বিধায়কের 'ব্রেন খারাপ হয়ে গিয়েছিল' ! এমন উত্তর শুনে সাংবাদিক পালটা প্রশ্ন করেন, পেশায় শিক্ষক একজন মানুষের হঠাৎ করে ব্রেন খারাপ হয়ে গেল ! না কি সিবিআইকে দেখে এমনটা হল ? এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে চাননি সাধন ৷ জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের সহযোগিতা করা তাঁর কর্তব্য ৷ তিনি সেটাই করেছেন ৷