সামশেরগঞ্জ, 30 মার্চ: হেরোয়িন পাচারের অভিযোগে ধৃত তরুণীকে (Lady Arrested for alleged Heroin Smuggling) তিনদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে (Three Days Police Custody) পাঠানোর নির্দেশ দিল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আদালত ৷ ধৃত তরুণীর নাম মারিয়ম খাতুন ৷ 24 বছরের মারিয়ম বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের বাসিন্দা ৷ বুধবার রাতে তাঁকে পাকড়াও করে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ মারিয়মের কাছ থেকে 759 গ্রাম হেরোয়িন উদ্ধার করা হয়েছে ৷ যার বাজারদর প্রায় 70 লক্ষ টাকা (Heroin Seized worth Rs 70 Lakh) !
পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মারিয়মের গ্রেফতারি এবং তাঁর কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার ঘটনা তাদের বড় সাফল্য ৷ বস্তুত, মাদক পাচারের খবর আগে থেকেই পেয়েছিল সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ তাদের কাছে খবর ছিল, উত্তরবঙ্গে থেকে মুর্শিদাবাদের হয়ে বীরভূমে মাদক পাচার করা হবে ৷ সেই মতোই ওঁৎ পেতে বসেছিল পুলিশ ৷ বুধবার সন্ধ্যায় সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার তারাপুরে মোতায়েন ছিলেন স্থানীয় থানার কর্মী ও আধিকারিকরা ৷ সেই সময়েই ওই এলাকায় আসেন মারিয়ম ৷ একেবারে সাদামাটা পোশাকে ছিলেন তিনি ৷ আপাতভাবে আর পাঁচজন পথচলতি তরুণীর সঙ্গে তাঁর কোনও ফারাক ছিল না ৷ মারিয়মের কাঁধে ছিল বেশ বড়সড় একটি লেডিস ব্যাগ ৷ সেটিও খুবই সাধারণ ৷ কিন্তু, আগে থেকে খবর থাকায় মারিয়মকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশ ৷ তাঁকে আটকে তাঁর ব্য়াগে তল্লাশি চালানো হয় ৷ আর তাতেই 'ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ে' !
মারিয়মের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় পাওডারের মতো এক সন্দেহজনক বস্তু ! জানা যায়, সেটি আসলে হেরোয়িন ! এরপরই মারিয়মকে গ্রেফতার করা হয় ৷ প্রাথমিক জেরায় পুলিশকে মারিয়ম জানিয়েছেন, এই হেরোয়িন নিয়ে বীরভূম যাওয়ার কথা ছিল তাঁর ৷ 34 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন মারিয়ম ৷ তারপর সেখান থেকে বীরভূমের পথ ধরতেন তিনি ৷ কিন্তু, পুলিশ সজাগ থাকায় সেই ছক ভেস্তে যায় ৷ পাচারের আগেই উদ্ধার করা হয় 759 গ্রাম মাদক !
আরও পড়ুন: কোটি টাকার হেরোইন-সহ গ্রেফতার 4
বৃহস্পতিবার মারিয়মকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক তাঁকে তিনদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মাদকপাচার চক্রে মারিয়ম নেহাতই একজন 'বোড়ে' ! তিনি আদতে মালবাহক বা 'ক্যারিয়ার'-এর কাজ করেন ৷ এই চক্রের মাথারা আড়ালেই থাকে ৷ সেই মাথাদের হদিশ পেতেই মারিয়মকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ ৷ তাদের আশা, এতে তাদের হাতে অনেক জরুরি তথ্য আসবে ৷ সেই তথ্য হাতিয়ার করে মাদকপাচার চক্রের অন্যদেরও শনাক্ত ও পাকড়াও করা সম্ভব হবে ৷