কান্দি, 1 মার্চ: আবহাওয়া বদলানোর কারণে অসুস্থ হয়ে পড়াটা দীর্ঘদিনের বিষয়। তবে বর্তমানে রোগের এবং রোগীর পরিমাণ দুইই যেন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনও সময়ই সুস্থ স্বাভাবিক থাকছে না সববয়সি মানুষরাই। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে রোগীর পরিমাণ প্রচন্ড হারে বেড়েছে। এই মুহূর্তে কান্দি মহকুমা হাসপাতালের যে চিত্র উঠে এল তাতে দেখা যাচ্ছে বেডের অভাবে রীতিমতো মাটিতে শিশুদের নিয়ে বসে থাকছেন পরিবারের লোকেরা (Beds Problem at Kandi Sub Division Hospital)।
সবচেয়ে নজর কারা বিষয় যেটি হাসপাতালে প্রায় এক মাসে প্রচুর শিশু অসুস্থ হওয়ার কারণে ভরতি হয়েছে । হাসপাতাল সুপার ডক্টর রাজেশ চন্দ্র সাহা জানান, হাসপাতালে শিশু বিভাগে বেডের সংখ্যা 38 এবং অনুমোদনের জন্য হয়ে আছে 313টি বেডের। বিভিন্ন ব্লক থেকে রেফার হয়ে আশায় চাপ আরও বেশি বেড়ে গিয়েছে। আজ শিশু রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে হাসপাতালে 122 জন। সে কারণে সকলে বেড পাইনি। বাচ্চাদের নিয়ে যে সমস্ত মায়েরা বা পরিবারের কেউ হাসপাতালে আছে তাঁদের বক্তব্য প্রচুর লোকের আনাগোনা হচ্ছে ৷
সে কারণে ধুলো-ময়লাও প্রচুর রয়েছে। অপরিষ্কার জায়গাতেই বাচ্চাদের নিয়ে দিন রাত কাটাতে হচ্ছে। বেড পাইনি সে কারণে মাটিতেই ঠাঁই হয়েছে। এমনিতেই অসুস্থ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকছে। এক একজন প্রায় তিন থেকে চার দিন ধরে হাসপাতালেই রয়েছে। জ্বর-সর্দি-কাশি-বমি এই সমস্ত বিষয়গুলো সারতে অনেকটাই সময় লাগছে। আজ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে এত শিশু ভরতি হওয়ায় পরিদর্শনে এসেছিলেন বিধায়ক অপূর্ব সরকার ৷
আরও পড়ুন: শান্তিপুর হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারে বাদ রোগীর সংক্রমিত পা
তিনি জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অসুস্থ সকলেই হচ্ছে। সবাই হাসপাতালে আশায় বেড পাওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না। সিএমওএইচ-র সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন চেষ্টা করছেন পরিষেবা ঠিকঠাক দেওয়ার। হাসপাতালে আরও উন্নত সবরকম মানের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তার কাজ শুরু হবে । যাতে মানুষের আর কোনও অসুবিধা না-হয় তার দিকেই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রচুর নতুন বিভাগ খোলা হবে যাতে ব্লকের মানুষদের চিকিৎসার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বা বর্ধমানে যেতে না-হয় ৷