খড়গ্রাম (মুর্শিদাবাদ), 24 জানুয়ারি: ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের (ISF) সভায় গিয়ে গোলমাল পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক সেনা জওয়ানকে (Indian Army Jawan) ৷ মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানা এলাকার এড়োয়ালি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ ধৃতের নাম আলমগীর শেখ ৷
দিন কয়েক আগে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে কলতাতার ধর্মতলায় এক অনুষ্ঠান হয় ৷ সেখানে আইএসএফ সমর্থকদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে ৷ পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে ৷ সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে (ISF MLA Naushad Siddique) ৷ পুলিশের উপরও আইএসএফ সমর্থকরা চড়াও হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷
তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দু’জনের সন্ধান পায় পুলিশ ৷ তাঁদের একজনকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় পুলিশের তরফে ৷ তিনি হাওড়ার আমতার বাসিন্দা ৷ তাঁকে জেরা করেই আলমগীরের সন্ধান পায় পুলিশ ৷
আলমগীর মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার পুরন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ এড়োয়ালি গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি ৷ তাঁর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁর কাছে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল ৷ কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, আলমগীর শেখ টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান ৷ তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন ৷ তিনি গুজরাতে কর্মরত ছিলেন ৷ বর্ধমানেও তাঁর বাড়ি রয়েছে ৷
এদিকে এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন আলমগীরের পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁর স্ত্রী রাশিদা বেগম এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ তবে স্বামী যে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন সেই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷ তাই ওই সেনা জওয়ান কীভাবে কলকাতার বিক্ষোভে এলেন ? তিনি কি ছুটিতে বাড়িতে এসে বিক্ষোভে এসেছিলেন ? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ তদন্ত এগোলে, এই বিষয়গুলি সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: ধর্মতলার ঘটনায় 1 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত বিধায়ক নওশাদের