মুর্শিদাবাদ, 23 জুলাই: মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় যখন রাজ্য তোলপাড় সেই সময়ে মালদার পর এবার মুর্শিদাবাদেও এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ৷ নির্যাতিতা মহিলাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত দুই কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগের তীর শাসক দলের দিকে। রবিবারের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে বড়ঞার তেলডুঙো গ্ৰামে।
নির্যাতিতা মহিলা বলেন, "আমি আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলাম ৷ এই দিন তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাকে মারধর করে ৷ বিবস্ত্র করে ৷ আমি তাঁদের কঠিন শাস্তি চাই ৷"
আক্রান্ত গোলাম মুর্শিদ জানান, তিনি সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ভোটের সময় নির্দল ছিলেন। তাঁর কথায়, "এক মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করছিল। ওনাকে মারছে দেখে প্রতিবাদ করি। এরপর আরও কয়েকজন এগিয়ে আসেন। আমরা ওই মহিলাকে উদ্ধারও করি। এরপর তৃণমূলের কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারে।"
জানা গিয়েছে,পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল থেকে গ্রামে লড়াই করেছিলেন মহম্মদ বজরুল কেরিম, গোলাম মুর্শিদ। নির্দলের হয়ে লড়াই করে তৃণমূলের বিপরীতে পরাস্ত হন তাঁরা। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তাঁদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল নির্দল কর্মীরা কংগ্রেসে যোগদান করবেন। সেই কারণেই শনিবার তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেন। আক্রান্তদের অভিযোগ, নির্দল থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কারণেই রবিবার গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছে ৷ অভিযোগ উঠেছে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে।
ঘটনাস্থল থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে গেলে দুই কংগ্রেস কর্মীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় নিগৃহীত মহিলা-সহ চার কংগ্রেস কর্মী গুরুতর যখন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রথমে বড়ঞা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থীদের। পরে চিকিৎসার জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁদের।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন ? মণিপুরে নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি ইরম শর্মিলার
অন্যদিকে, ঘটনা প্রসঙ্গে শাসক শিবিরের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷