মুর্শিদাবাদ, 7 জুলাই: পঞ্চায়েত ভোটের চব্বিশ ঘণ্টা আগেও রাজনৈতিক হিংসা জারি রাজ্যে। হিংসার জেরে পিটিয়ে খুন করা হল কংগ্রেস কর্মীকে । শুক্রবার সকালে ইসলামপুর থানার অন্তর্গত হেরামপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার রায়পুরের ঘটনা । এলাকায় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনায় অরবিন্দ মন্ডল নামে আরও এক কংগ্রেস কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতেই তৃণমূলের লোকেরা অরবিন্দকে মারধর করে, সেকারণেই শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয় ।
নিহত কংগ্রেস কর্মী স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডলের দাবি, ঘটনায় জড়িত স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী চিন্ময়। তিনি বলেন, "বৃহস্পতিবার চিন্ময়ই তার দলবল নিয়ে অরবিন্দ-সহ চার কংগ্রেস কর্মীর উপর হামলা চালায় ।" বেধড়ক মারধরে গুরুতর আহত হন অরবিন্দ মন্ডল, বিশ্বনাথ মন্ডল, অরুণ মন্ডল এবং কসিমুদ্দিন। বিশ্বনাথ মণ্ডলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, বাকি তিনজন বাড়ি ফিরে আসে । শুক্রবার সকালে ফের চিন্ময়ের লোকজন অরবিন্দর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রী অন্নপূর্ণার ।
পরিবারের অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে থাকলেও ইসলামপুর থানার পুলিশ জানাচ্ছে, কংগ্রেস কর্মীর হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল । অশান্তির খবর শুনে আতঙ্কে তাঁর মৃত্যু হয় । পুলিশের যুক্তি মানতে নারাজ অরবিন্দের পরিবার । তাদের দাবি, সংঘর্ষ থামাতে গিয়েই তৃণমূল কর্মীদের রোষের মুখে পড়েন অরবিন্দ । শুধু তাই নয়, অরবিন্দকে নিশানা করে মারধর করে চিন্ময় বলেও অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নিল কমিশন
মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জেলায় শান্তিপূর্ণ ভোটের বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ভাঙড়, বাসন্তী থেকে মুর্শিদাবাদ হিংসার কারণে মৃত্যুর তালিকা বেড়েই চলেছে। ভোটের আগের দিনও যা বহাল । প্রচারের শেষ দিনেও ভোটের বাংলায় হিংসা, ভোটের আগের দিনও একই ছবি । ভোটের দিন কতটা নিরাপত্তার মধ্যে ভোট দেবেন গ্রামের মানুষ, সেই প্রশ্ন আরও একবার উস্কে দিল মুর্শিদাবাদের ঘটনা ।