সামশেরগঞ্জ, 13 অগস্ট: 3 শিশু-সহ বালককে ফিডার ক্যানালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিআইএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে ৷ রবিবার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের মালঞ্চা সিআইএসএফ ঘাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই সিআইএসএফ জওয়ান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ৷ এই ঘটনায় স্থানীয়দের তৎপরতায় জলে ফেলে দেওয়া 3 শিশু-সহ বালককে জীবিত উদ্ধার করা হয় ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা ৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং সিআইএসএফ-এর আধিকারিকরা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ৷
যদিও, অভিযুক্ত সিআইএসেফ জওয়ান জানিয়েছেন, তিনি একটি বাচ্চার ঘাড় ধরে জলে ফেলে দিয়েছিলেন ৷ বাকিদের হাত ধরে টেনে জলে নামিয়ে দেন ৷ তাঁদের ডুবিয়ে দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না ৷ কিন্তু, এমনটাই বা কেন করলেন তিনি ? ওই জওয়ানের দাবি, তিনি দুপুরের খাবার খেয়ে টিফিন বাক্স ধুতে বাইরে যান ৷ সেই সময় ওই তিনটি বাচ্চা তাঁকে গালাগালি দিচ্ছিল ৷ সেই সময় তিনি গান গাইছিলেন ৷ সেই নিয়ে তাঁকে ব্যঙ্গ করছিল ৷
টিফিন বাক্স ধুয়ে তিনি উপরে উঠে আসার পরই ওই জওয়ান তিন শিশুকে বলেন, সাঁতার কাটতে হলে জলে নামতে হবে ৷ আর তা না হলে সেখান থেকে চলে যেতে হবে ৷ তিনি জানান, ওই তিনজন বাচ্চা-সহ আরও অনেকে মালঞ্চার সিআইএসএফ ঘাটে সাঁতার কাটতে আসে প্রায় ৷ আর সেই কারণেই তিনি দু’জনের হাত ধরে জলে নামিয়ে দেন এবং আরকেটি বাচ্চাকে ঘাড় ধরে জলে ফেলে দেন ৷ যা করাটা তাঁর ভুল হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ান ৷
আরও পড়ুন: পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে গুলিবিদ্ধ সিআইএসএফ জওয়ান স্থিতিশীল
সেই সময় একটি বাচ্চা নিজেই সাঁতরে পাড়ে চলে আসে ৷ আর বাকি দু’জনকে উদ্ধার করতে স্থানীয়রা জলে নামেন ৷ তাদের জীবিত উদ্ধার করা গেলেও, একটি বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ যার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা ৷ তাদের অভিযোগ, বাচ্চাগুলি নিজেদের মধ্যে খেলছিল ৷ জওয়ান বাংলা ভাষা বোঝেন না ৷ সেই কারণে তাঁর মনে হয়েছে, বাচ্চারা গালাগালি দিচ্ছিল ৷ যা মিথ্যে বলে দাবি করেন এক গ্রামবাসী ৷ অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হন লোকজন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং সিআইএসএফ-এর আধিকারিকরা ৷ তারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন ৷ কিন্তু, জওয়ানের গ্রেফতারিতে অনড় রয়েছে গ্রামের লোকজন ৷