বহরমপুর, 8 নভেম্বর : অভাব বাড়ছে । দারিদ্রতা বাড়ছে। অপুষ্টি বাড়ছে। দেশের মানুষের আয় কমছে। এই অবস্থায় বিনা পয়সায় রেশন ব্যবস্থা কোনওভাবেই বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করব। সোমবার এভাবেই বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি নোটবন্দিতে মোদি সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেই দাবি করেছেন অধীর।
খুব শীঘ্রই দেশে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়া বন্ধ হতে চলেছে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ছটপুজোর পর থেকে কেন্দ্রের বিনা পয়সায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হতে হওয়ার খবর চর্চার শিরোনামে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তার প্রতিবাদে অধীর প্রশ্ন তোলেন, "যে কারণে বিনামূল্যে রেশনে চাল-গম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেই পরিস্থিতি কি বদলাতে পেরেছে কেন্দ্র? যদি সেই অবস্থা পাল্টাতে না পেরে থাকে তাহলে বিনা পয়সায় রেশন ব্যবস্থা বন্ধ হতে পারে না। ভারতে দারিদ্রতা, অপুষ্টি বাড়ছে। মানুষের উপার্জন কমছে। দারিদ্য সীমায় আমরা এখন বাংলাদেশ, পাকিস্তানেরও নীচে। এই অবস্থায় কোন যুক্তিতেই বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া বন্ধ হতে পারে না।"
অধীরের আরও দাবি, "লকডাউনের শুরুতে সোনিয়া গান্ধি বিনা পয়সায় রেশন ও গরিব মানুষদের জন্য মাসিক ৫৭০০-৭০০০ টাকা দাবি করেছিলেন। তখন আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের মিছিল দেখেছি। সেই পরিযায়ী শ্রমিক কোথায় ফিরে গেছেন আমরা জানি না। তা যদি না হত তবে সরকারকে একশো দিনের কাজের জন্য নতুন করে ভাবতে হত না। লক্ষ লক্ষ টন চাল-গম মজুতের অভাবে যেখানে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেখানে কোনও অবস্থাতেই নিরন্ন মানুষের রেশন বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করব। প্রতিবাদ করব।"
আরও পড়ুন : প্রথম মমতাই নোটবন্দির কুফল বুঝতে পেরেছিলেন, দাবি ডেরেকের
একইসঙ্গে নোটবন্দি প্রসঙ্গে অধীর বলেন, "মোদি সরকারের নোটবন্দি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। জাল নোট বন্ধ, সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই নোটবন্দি করা হয়েছিল। একইসঙ্গে ক্যশলেস লেনদেন চালুর দিকে নজর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নোটবন্দির সময় ভারতের বাজারে ছিল নগদ ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। আর এখন ভারতের বাজারে নগদ ২৬ লক্ষ কোটি টাকা।" অর্থাৎ অধীরের দাবি, ক্যাশলেস লেনদেন তো চালু করা যায়ইনি। উল্টে খোলা বাজারে বেড়েছে নগদ অর্থ।