বহরমপুর, 31 মার্চ: বহরমপুরে সরকারি হোমে থেকে নিখোঁজ 11 জন কিশোর। বহরমপুরে কাদাইয়ের ওই সরকারি হোমের নাম কাজী নজরুল ইসলাম হোম। এদিন হোম থেকে স্কুলে যায় ওই কিশোররা। স্কুলের প্রথম ক্লাসের পর থেকেই ওই 11 জনকে আর দেখা যায়নি। স্কুলের পাঁচিল টপকেই পালিয়েছে বলে দাবি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের। এই নিয়েই চিন্তিত হোম কর্তৃপক্ষ। নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বহরমপুর থানায়। এখনও পর্যন্ত ওই 11 জন ছাত্রের কোনও খোঁজ মেলেনি।
হোম কর্তৃপক্ষ ও বহরমপুর থানার পুলিশ হোমের কিশোরদের খোঁজ চালাচ্ছে । কী কারণে তারা হোমে ফেরেনি, সেই নিয়ে চিন্তিত সকলে। ইতিমধ্যেই হোম কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের ডেকে পাঠিয়েছে । একে একে অভিভাবকরা আসতেও শুরু করেছেন। জেলাশাসক রাজশ্রী মৈত্র হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন বলা জানা গিয়েছে। কাদাইয়ের সরকারি হোমে রয়েছে প্রায় 60 জন কিশোর। অনাথ এবং দুস্থ পরিবারের কিশোরদের ওই হোমে রাখা হয়েছিল। হোমের কিশোরদের লেখাপড়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। বহরমপুর শহরের এক স্কুলে পঠনপাঠন করে কিশোররা।
26 জন কিশোরকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসে হোম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার পর আর হোমে ফেরেনি এগারো জন। স্কুলের প্রথম ক্লাসের পর থেকেই তারা লুকিয়ে পালিয়ে যায়। হোমে না-ফিরেই তারা অন্যত্র পালিয়ে যায়। কী কারণে তারা হোমে ফেরেনি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় বিশ্বাস বলেন, "হোমের ছেলেদের স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু বিদ্যালয়ে সেভাবে নজর রাখার পরিকাঠামো নেই। ওদেফ বন্ধুরাই জানাই 11 জনকে দেখা যাচ্ছে না। নিখোঁজ পড়ুয়ারা সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্র।"
আরও পড়ুন: টিউশন পড়তে গিয়ে নিখোঁজ নবম শ্রেণির ছাত্র
নিখোঁজ অভিযোগ মেলার পর বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে নিখোঁজ খবর পেয়ে হোমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, হোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা। অভিভাবকরা হোমের খাবারের মান ও তাদের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। হোম কর্তৃপক্ষ ও বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে এখনও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। প্রসঙ্গত, এর আগেও কাজি নজরুল ইসলাম হোম থেকে ছেলে পালানোর ঘটনা ঘটেছে। বারবার হোমের উপর অভিযোগ ওঠায় চরম অস্বস্তিতে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন।