মালদা, 7 ফেব্রুয়ারি : মালদায় জেলায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ৷ ব্লক সভাপতির অনুমতি ছাড়াই সংবর্ধনা সভার আয়োজন করল সহ সভাপতি ৷ এমনকি সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানান হয়নি বলেও অভিযোগ ৷ প্রসঙ্গত আগামী 10 তারিখ মালদা সফরে আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ গাজোলে সভা করবেন তিনি ৷ তার ঠিক আগেই গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির ৷
গতকাল রাতে চাঁচল 1 ব্লকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনের কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় ৷ অভিযোগ, ব্লক সভাপতির অনুমতি ছাড়ায় সেই অনুষ্ঠান করেন দুই সহ সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন ও দেবব্রত সিংহ ৷ এমনকি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে নাম পর্যন্ত রাখা হয়নি ব্লক সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তীর ৷ সচ্চিদানন্দবাবু বলেন, “হঠাৎ আমি খবর পেয়েছি ব্লকের দুই সহ সভাপতি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেছে ৷ বিষয়টি আমার জানা ছিল না ৷ এমনকি আমার অনুমতিও নেওয়া হয়নি ৷ আমি এই অনুষ্ঠানকে বেআইনি বলে মনে করছি ৷ তৃণমূলের কোনও সাংগঠনিক অনুষ্ঠান এভাবে হতে পারে না ৷ কেন সভাপতির অনুমতি ছাড়া, সভাপতির নাম ছাড়া এই অনুষ্ঠান করা হল তা নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ৷ এখনও বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়নি ৷ তবে সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি তাঁরা জানতে পেরেছেন ৷” যদিও ব্লক সভাপতির পুরো অভিযোগ উড়িয়ে পালটা তাঁকে আক্রমণ করেছেন দুই সহ সভাপতি ৷ ইমতিয়াজ সাহেব বলেন, “কয়েকদিন আগে একটি মোটরবাইক মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে ব্লক সভাপতি অসুস্থ হয়েছেন ৷ আমরা ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম ৷ কিন্তু উনি একটু বেশি অসুস্থ থাকায় অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি ৷ আমরা এই অনুষ্ঠান নিয়ে ব্লক সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেছি ৷ তাঁকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়েছি ৷ সামনে বিধানসভা নির্বাচন তার আগে কর্মীদের খানিকটা উৎসাহ দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ ব্লক সভাপতি যেমন রাজ্য থেকে মনোনীত সহ সভাপতিও তেমনই মনোনীত ৷ কিন্তু ব্লক সভাপতি আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিচ্ছেন ৷”
আরও পড়ুন : ''বছরের পর বছর রেলের বরাদ্দে বঞ্চিত বাংলা'', ''ভোটমুখী বাজেটে'' কেন্দ্রকে তোপ ডেরেকের
তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ৷ বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি ৷ এটা নতুন বিষয় নয় ৷ তৃণমূলের সকলেই বড় নেতা হতে চায় ৷ আজ একজন কাউকে না জানিয়ে অনুষ্ঠান করছেন, কাল অন্যজন একইভাবে অনুষ্ঠান করছেন ৷ যাই হোক এ নিয়ে বিজেপির কোনও মাথা ব্যথা নেই ৷ কয়েকদিন পরেই এই সরকার থাকবে না, তার সঙ্গে এই সংস্কৃতিও হারিয়ে যাবে ৷”