ETV Bharat / state

দুর্গাপুজো ঘিরে মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, হামলা প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে

দুর্গাপুজো ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত মালদার পুড়াটুলি সদরঘাট । রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের এক কো-অর্ডিনেটরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ।

সাবিত্রী মিত্র
সাবিত্রী মিত্র
author img

By

Published : Oct 16, 2020, 12:48 PM IST

Updated : Oct 16, 2020, 1:32 PM IST

মালদা, 16 অক্টোবর : দুর্গাপুজো ঘিরে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার পুড়াটুলি সদরঘাটে । এনিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবিত্রীদেবীর মেয়ে ও তাঁর পরিবারের আরও এক সদস্য । এই ঘটনায় অভিযোগের তির জেলা তৃণমূলের এক কো-অর্ডিনেটরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন ওই কো-অর্ডিনেটর ৷ আজ এই খবর ছড়াতেই শোরগোল পড়েছে জেলায় ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

ঘটনার সূত্রপাত পরশু রাতে ৷ প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বক্তব্য, “পাড়ায় দুর্গাপুজো হোক, সেটা পাড়ার সবাই চায় ৷ দীর্ঘদিন ধরে এই পুজো হয়ে আসছে ৷ গতবার হঠাৎ পুজো বন্ধ হয়ে যায়৷ পুজোর সময় পাড়া অন্ধকারে ছিল৷ গতবারও পুজো নিয়ে আমরা পাড়ার বয়স্কদের কাছে গিয়েছিলাম ৷ পুজো করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম৷ কিন্তু কী কারণে পুজো হয়নি, জানি না ৷ সিনিয়ররা পুজো করতে পারেননি ৷ গতবার ক্লাবের সম্পাদক তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ির বাবা মারা গিয়েছিলেন৷ তাই তিনি পুজোয় জড়িত থাকতে পারেননি৷ তবে সিনিয়রদের হাতে দেওয়া হলে হয়ত পুজো বন্ধ হত না ৷ এবারও পুজোর কোনও সাড়াশব্দ নেই৷ আমি এই পুজো কমিটির সভাপতি ৷ তবে মিটিং ডাকেন সম্পাদক অথবা অন্য কোনও সদস্য ৷ এবার পুজো নিয়ে কোনও মিটিং ডাকা হয়নি ৷ অথচ প্রতি বছরই এই ক্লাব পুজোর জন্য সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৷ এবারও পেয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে পাড়ার সবাই আমার কাছে এসে পুজোর ব্যাপারে জানতে চাইছে ৷ গতকালই এনিয়ে একটা মিটিং ছিল ৷ তারই মধ্যে পরশু রাত সাড়ে 11টায় 7-8 জন বাঁশ দিয়ে আমাদের বাড়ির দরজায় পেটাতে শুরু করে৷ দরজা ভাঙার চেষ্টা করে ৷ এর পিছনে ক্লাবের আরও অনেক সদস্য রয়েছে৷ আতঙ্কে রয়েছে বাড়ির লোকজন । রাস্তায় বেরোলে কো-অর্ডিনেটরের অনুগামীরা জানতে চায়, পুজো কেন হচ্ছে না ৷ আমি তাদের জানিয়েছি, ক্লাবের সভাপতি হিসাবে আমি অম্লানের কাছে পুজো করার কথা বলেছি ৷ সে পুজোর ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছিল ৷ তবে এই পুজো বন্ধের জন্য কেউ বা কারা লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে ৷ গত পরশুর ঘটনায় আমার মেয়ে গতকাল ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ৷”

থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের
থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের

মালদার পুড়াটুলি সদরঘাটে সাবিত্রীদেবীর বাড়ির কাছেই অম্লানবাবুর বাড়ি । তাঁর বাড়ির সামনে নির্মীয়মাণ এই দুর্গামন্দির ৷ সাবিত্রী ঘনিষ্ঠদের একাংশের অভিযোগ, যেহেতু মন্দিরটি অম্লান ভাদুড়ির বাড়ি অনেকটা আড়াল করে রেখেছে, তাই তিনি যে কোনও উপায়ে এই মন্দিরটি ভাঙার চেষ্টা করছেন ৷ সেই কারণেই গতবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দীর্ঘদিনের এই পুজো ৷ সম্প্রতি সাবিত্রীদেবী ও অম্লানবাবুর রাজনৈতিক বিরোধিতার কথা এলাকায় কারোর অজানা নেই ৷ ফলে পুজোকে কেন্দ্র করে এই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও একবার উস্কে উঠল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

দুর্গাপুজো ঘিরে মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

যদিও অম্লানবাবু এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতিকে মেশাতে রাজি নন ৷ তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ এখানে এই সর্বজনীন পুজো করতে উৎসাহী নয় ৷ 3-4 জনই উৎসাহ দেখায় ৷ এই অবস্থায় ক্লাবের জুনিয়র সদস্যদের বক্তব্য, পাড়ার সবাই যদি পুজোয় উৎসাহ না দেখায়, তবে তারা পুজোর দায়িত্ব নেবে না ৷ গতকাল এনিয়ে বৈঠক করা হয় ৷ ওদের কিছু দাবি রয়েছে ৷ তার মধ্যে অন্যতম, মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করে দিতে হবে৷ মন্দিরটা গত 6-7 বছর ধরে এই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে ৷ গত পরশুর ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই৷ সবাইকে নিয়েই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে ৷ তবে পরশু রাতে হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ এনিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ হয়েছে কি না, আমার জানা নেই৷”

মালদা, 16 অক্টোবর : দুর্গাপুজো ঘিরে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার পুড়াটুলি সদরঘাটে । এনিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবিত্রীদেবীর মেয়ে ও তাঁর পরিবারের আরও এক সদস্য । এই ঘটনায় অভিযোগের তির জেলা তৃণমূলের এক কো-অর্ডিনেটরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন ওই কো-অর্ডিনেটর ৷ আজ এই খবর ছড়াতেই শোরগোল পড়েছে জেলায় ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

ঘটনার সূত্রপাত পরশু রাতে ৷ প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বক্তব্য, “পাড়ায় দুর্গাপুজো হোক, সেটা পাড়ার সবাই চায় ৷ দীর্ঘদিন ধরে এই পুজো হয়ে আসছে ৷ গতবার হঠাৎ পুজো বন্ধ হয়ে যায়৷ পুজোর সময় পাড়া অন্ধকারে ছিল৷ গতবারও পুজো নিয়ে আমরা পাড়ার বয়স্কদের কাছে গিয়েছিলাম ৷ পুজো করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম৷ কিন্তু কী কারণে পুজো হয়নি, জানি না ৷ সিনিয়ররা পুজো করতে পারেননি ৷ গতবার ক্লাবের সম্পাদক তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ির বাবা মারা গিয়েছিলেন৷ তাই তিনি পুজোয় জড়িত থাকতে পারেননি৷ তবে সিনিয়রদের হাতে দেওয়া হলে হয়ত পুজো বন্ধ হত না ৷ এবারও পুজোর কোনও সাড়াশব্দ নেই৷ আমি এই পুজো কমিটির সভাপতি ৷ তবে মিটিং ডাকেন সম্পাদক অথবা অন্য কোনও সদস্য ৷ এবার পুজো নিয়ে কোনও মিটিং ডাকা হয়নি ৷ অথচ প্রতি বছরই এই ক্লাব পুজোর জন্য সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৷ এবারও পেয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে পাড়ার সবাই আমার কাছে এসে পুজোর ব্যাপারে জানতে চাইছে ৷ গতকালই এনিয়ে একটা মিটিং ছিল ৷ তারই মধ্যে পরশু রাত সাড়ে 11টায় 7-8 জন বাঁশ দিয়ে আমাদের বাড়ির দরজায় পেটাতে শুরু করে৷ দরজা ভাঙার চেষ্টা করে ৷ এর পিছনে ক্লাবের আরও অনেক সদস্য রয়েছে৷ আতঙ্কে রয়েছে বাড়ির লোকজন । রাস্তায় বেরোলে কো-অর্ডিনেটরের অনুগামীরা জানতে চায়, পুজো কেন হচ্ছে না ৷ আমি তাদের জানিয়েছি, ক্লাবের সভাপতি হিসাবে আমি অম্লানের কাছে পুজো করার কথা বলেছি ৷ সে পুজোর ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছিল ৷ তবে এই পুজো বন্ধের জন্য কেউ বা কারা লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে ৷ গত পরশুর ঘটনায় আমার মেয়ে গতকাল ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ৷”

থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের
থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের

মালদার পুড়াটুলি সদরঘাটে সাবিত্রীদেবীর বাড়ির কাছেই অম্লানবাবুর বাড়ি । তাঁর বাড়ির সামনে নির্মীয়মাণ এই দুর্গামন্দির ৷ সাবিত্রী ঘনিষ্ঠদের একাংশের অভিযোগ, যেহেতু মন্দিরটি অম্লান ভাদুড়ির বাড়ি অনেকটা আড়াল করে রেখেছে, তাই তিনি যে কোনও উপায়ে এই মন্দিরটি ভাঙার চেষ্টা করছেন ৷ সেই কারণেই গতবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দীর্ঘদিনের এই পুজো ৷ সম্প্রতি সাবিত্রীদেবী ও অম্লানবাবুর রাজনৈতিক বিরোধিতার কথা এলাকায় কারোর অজানা নেই ৷ ফলে পুজোকে কেন্দ্র করে এই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও একবার উস্কে উঠল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

দুর্গাপুজো ঘিরে মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

যদিও অম্লানবাবু এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতিকে মেশাতে রাজি নন ৷ তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ এখানে এই সর্বজনীন পুজো করতে উৎসাহী নয় ৷ 3-4 জনই উৎসাহ দেখায় ৷ এই অবস্থায় ক্লাবের জুনিয়র সদস্যদের বক্তব্য, পাড়ার সবাই যদি পুজোয় উৎসাহ না দেখায়, তবে তারা পুজোর দায়িত্ব নেবে না ৷ গতকাল এনিয়ে বৈঠক করা হয় ৷ ওদের কিছু দাবি রয়েছে ৷ তার মধ্যে অন্যতম, মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করে দিতে হবে৷ মন্দিরটা গত 6-7 বছর ধরে এই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে ৷ গত পরশুর ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই৷ সবাইকে নিয়েই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে ৷ তবে পরশু রাতে হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ এনিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ হয়েছে কি না, আমার জানা নেই৷”

Last Updated : Oct 16, 2020, 1:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.