মালদা, 21 ফেব্রুয়ারি: একুশের নির্বাচনের আগে নানা ইশুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্য়ের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে অবস্থান বিক্ষোভ করছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ৷ তাদের অভিযোগ, আন্দোলনের নামে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে রাজ্য়ের শাসকশিবির ৷
রবিবার দুপুরে চাঁচলের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে অবস্থান বিক্ষোভ করেন টিএমসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবু সরকার বলেন, ‘‘কেন্দ্রের মোদি সরকার দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে পেট্রল-ডিজেল-সহ রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই আমাদের এই বিক্ষোভ ৷ পেট্রোপণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে ৷ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে ৷ কিন্তু মানুষের কষ্টে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হুঁশ নেই ৷ একুশের ভোটে এটা কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা জানি না ৷ তবে মানুষ যেখানেই সমস্যায় পড়বে, আমরা পাশে দাঁড়াব ৷’’
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রাম যদিও বলেন, ‘‘পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে টিএমসিপি বিক্ষোভ করছে ৷ বিক্ষোভ দেখানো সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার ৷ কিন্তু কিছু জিনিস সকলের জানা উচিত ৷ পেট্রল বা ডিজেলের দাম অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে ৷ পেট্রোপণ্যের বেসিক রেটের পর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর থাকে ৷ ডিলারদেরও কমিশন থাকে ৷ পেট্রলে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের করের মাত্রা অনেক বেশি ৷ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে মানুষকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার কিছুটা কর কমালেই দাম কমে যাবে ৷ কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে, পেট্রল কিংবা ডিজেলের দাম বাড়লেই সরাসরি কেন্দ্রকে দায়ী করা হয় ৷ ভোটের আগে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল।’’
আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের
পেট্রল পাম্পগুলির তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রতি লিটার পেট্রলের বেসিক রেট 30 টাকা 50 পয়সা ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কর 16 টাকা 50 পয়সা এবং রাজ্য সরকারের কর 38 টাকা 55 পয়সা ৷ ডিলারের কমিশন 6 টাকা 50 পয়সা ৷ সব মিলিয়ে গ্রাহকদের প্রতি লিটার পেট্রলে 92 টাকা 05 পয়সা দিতে হচ্ছে ৷ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রবিবার রাজ্য়ের তরফে প্রতি লিটার ডিজেল ও পেট্রলে 1 টাকা করে কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ সোমবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর করা হবে নয়া নিয়ম ৷