মালদা, 15 জুন: বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল করার শেষ দিন । এরই মধ্যে 144 ধারা জারি থাকা প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করে বিতর্কে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন । শুধু তাই নয়, মনোনয়ন দাখিল করার রিটার্নিং অফিসারের রুমে ঢুকে শাসকদলকে অতিরিক্ত সুবিধে করে দিতে নির্বাচনী বিধি ভেঙেছেন রাজ্যসভার সাংসদ, এমনই আক্রমণ করেছে বিজেপি ।
বিরোধীদের অভিযোগ, এদিন দুপুরে গাড়ি নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন দোলা সেন । প্রথমেই তিনি সদর মহকুমা শাসকের দফতরে যান । সেখান থেকে জেলার দুই তৃণমূল নেতা মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ দাস-সহ দুই নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের রুমে প্রবেশ করেন । দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি বেশ কিছু সময় ধরে নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । আর এ নিয়েই সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির ।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ দাবি করেন, "শুধুমাত্র হাই-হ্যালো করতেই এসেছি । সমস্ত কাজকর্ম ঠিকঠাক চলছে । প্রশাসন নির্বাচনের সমস্ত দিকে নজর রাখছে । ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন আইনশৃঙ্খলায় পশ্চিমবঙ্গের কী পরিস্থিতি রয়েছে ।" মনোনয়নে মহিলা প্রার্থীকে হেনস্তার করার অভিযোগ প্রসঙ্গে দোলা সেনের মন্তব্য, সাড়ে দশ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে এসব ছোটো খাটো ঘটনা নিয়ে বলার কিছু নেই । প্রশাসন নিজের মতো কাজ করছে ।
আরও পড়ুন: মনোনয়নের শেষদিনেও রণক্ষেত্র ভাঙড়, গুলিতে মৃত এক আইএসএফ কর্মী
বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম ঘোষ ইটিভি ভারতকে ফোনে বলেন, "একজন রাজ্যসভার সাংসদ অর্থাৎ সংবিধানের রক্ষক । কিন্তু দোলা সেন একজন তৃণমূলের সাংসদ । ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা লক্ষ্য করেছি, তৃণমূল সংবিধান মানে না । পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই । গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে গিয়েছে । নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্বাচন ঘোষণা করেছে তাতে নির্বাচন কমিশনের মনোভাবও পরিষ্কার । 144 ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও আজ দোলা সেন তৃণমূল নেতাদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবন, এমনকী রিটার্নিং রুমে প্রবেশ করেছেন । জেলা প্রশাসন তাদের না-আটকে বরং নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সাহায্য করছে । এ ধরনের ঘটনা আমরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুনতে পাচ্ছি । রাজ্য সরকার হোক কিংবা নির্বাচন কমিশন আমরা কাউকেই নিরপেক্ষ মনে করছি না ।"