মালদা, 10 ডিসেম্বর : মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়তেই বিজেপির দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল শাসকদল তৃণমূল (TMC Occupied Panchayat in Malda)। আজ পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে তারা। বিজেপি বোর্ডের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের তলবি সভায় আজ 12-11 ভোটে অপসারিত হয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও এনিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে নিজেদের দলের সদস্যদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন অপসারিত প্রধান। তবে তাঁর কোনও অভিযোগকে আমল দেয়নি তৃণমূল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে 23 আসনবিশিষ্ট সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি 13টি, কংগ্রেস 4টি, তৃণমূল 4টি, সিপিএম 1টি ও বাকি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ে বিজেপি। প্রধান হন উকিল মণ্ডল। পরবর্তীতে বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে 3 জন করে মোট 6 জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। সিপিএম ও নির্দল সদস্যও যোগ দেন তৃণমূলে। 12 জনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতেই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে শাসকদল। আজ ছিল তার তলবি সভা।
অপসারিত হওয়ার পর উকিলবাবু বলেন, "বেশ কিছুদিন ধরেই এই পঞ্চায়েত দখলের চেষ্টায় ছিল শাসকদল। ওরা বাড়ি থেকে আমাদের দলের সদস্যদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি মালদা থানার আইসির সহযোগিতায় এক সদস্যের বাড়ির তালা ভেঙে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এরা টাকা দিয়ে অন্য দলের সদস্যদের কিনছে। এক সদস্যকে রাস্তায় মারধরও করা হয় ৷ এখন রাজ্যে যা চলছে, তাতে ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই। পঞ্চায়েতটাই উঠিয়ে দেওয়া উচিত। "
আরও পড়ুন: মালদায় যুবতিকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুবকের যাবজ্জীবন
পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে সাহাপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রবীন দাস বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে। সাড়ে তিন বছরে প্রধান দুর্নীতিতে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন। পঞ্চায়েতের প্রতিটি সদস্য তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। তারই প্রতিবাদে আমাদের সঙ্গে আরও 8 জন সদস্য যোগ দিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন।"