ETV Bharat / state

দলেরই সদস্যাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

তোলা না দেওয়ায় দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার বিরুদ্ধে। চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা সদস্যা ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : May 11, 2019, 11:05 PM IST

মালদা, 11 মে : চাহিদা অনুযায়ী তোলা না দেওয়ায় দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধর ও তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । ঘটনাটি চাঁচল 1 ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর গ্রামের । চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সদস্যা । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা ।

অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী তোলা না দেওয়ায় চাঁচল-1 ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ইনতাজ হোসেন ও তাঁর দলের লোকজন ওই পঞ্চায়েত সদস্যার শ্লীলতাহানি করেন ও তাঁকে মারধর করেন । ওই সদস্যা বলেন, "কিছুদিন আগে আমার এলাকায় একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর অনুমোদন মেলে । এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা । এরপর চাঁচল 1 ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ও তাঁর দলবল আমার কাছে 25 হাজার টাকা দাবি করে । আমি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করি । আজ সকাল সাড়ে 11 টা নাগাদ তারা ফের আমার কাছে আসে । টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে মারধর করে । আমাকে লোহার রড দিয়ে মারা হয় । আমার মাথায় ও বুকে আঘাত লাগে । আমি চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি । "

তৃণমূলের রাজনগর অঞ্চল সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, "এলাকার কয়েকজন লোক ওই পঞ্চায়েত সদস্যার কাছে কমিশন আদায় করতে যায় । কমিশন না পেয়ে তারা সাবমার্সিবল পাম্পহাউসে ভাঙচুর চালায় । পঞ্চায়েত সদস্যাকে বেধড়ক মারধর করে । তাঁকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে । খবরটা আমার কাছে এসেছে । এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ পঞ্চায়েত থেকেই গ্রহণ করা হবে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

চাঁচল 1 ব্লকের জেলাপরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, "অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোয়ারা বিবি ফোন করে আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন । নির্যাতিতা সদস্যা আমার কাছে এসে সব ঘটনা বলেছেন । শুধু এই দু'জনই নয়, সেখানকার অনেক তৃণমূল কর্মীও এই ঘটনা নিয়ে পার্টি অফিসে আসে । এসবের একটাই কারণ । বিভিন্ন কাজের কমিশনের টাকা আদায় । ইনতাজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক । ইনতাজ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি । একটা কথা বলতে পারি, তিনি দলে থেকে দলের ক্ষতি করছেন । এটা পুরোপুরি বাস্তব ।"

ফোনে যোগাযোগ করা হলে ইনতাজ হোসেন বলেন, "ওই সদস্যার সঙ্গে আমার কথাবার্তা কিংবা বচসা, কিছুই হয়নি । যে জায়গায় সাবমার্সিবল পাম্পটা বসানো হচ্ছে তার জায়গা আমিই ঠিক করে দিয়েছি । ওই জায়গাটি বাবলু দাসের । সেই কাজের ফাইলটাও আমি ইন্সপেকশন করেছি । ওই কাজটি নিম্নমানের হচ্ছে । আজ সেখানে ঠিকাদার কিংবা শ্রমিক-মিস্ত্রি যায়নি । ওখানে কোনও তোলাবাজির গল্পও নেই । ওরা 10 অথবা 18 শতাংশ পাচ্ছে বলেই খারাপ কাজকে সমর্থন করছে । আমি এলাকার 20 বছরের প্রতিনিধি । আমি কখনও খারাপ কাজকে সমর্থন করিনি । সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে, ভিত্তিহীন ।"

চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা আজ ইনতাজ হোসেন ছাড়াও জয়নাল আবেদিন, মুসলিমুদ্দিন, ঘেসরুদ্দিন ও সইদুলের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।

মালদা, 11 মে : চাহিদা অনুযায়ী তোলা না দেওয়ায় দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধর ও তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । ঘটনাটি চাঁচল 1 ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর গ্রামের । চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সদস্যা । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা ।

অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী তোলা না দেওয়ায় চাঁচল-1 ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ইনতাজ হোসেন ও তাঁর দলের লোকজন ওই পঞ্চায়েত সদস্যার শ্লীলতাহানি করেন ও তাঁকে মারধর করেন । ওই সদস্যা বলেন, "কিছুদিন আগে আমার এলাকায় একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর অনুমোদন মেলে । এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা । এরপর চাঁচল 1 ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ও তাঁর দলবল আমার কাছে 25 হাজার টাকা দাবি করে । আমি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করি । আজ সকাল সাড়ে 11 টা নাগাদ তারা ফের আমার কাছে আসে । টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে মারধর করে । আমাকে লোহার রড দিয়ে মারা হয় । আমার মাথায় ও বুকে আঘাত লাগে । আমি চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি । "

তৃণমূলের রাজনগর অঞ্চল সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, "এলাকার কয়েকজন লোক ওই পঞ্চায়েত সদস্যার কাছে কমিশন আদায় করতে যায় । কমিশন না পেয়ে তারা সাবমার্সিবল পাম্পহাউসে ভাঙচুর চালায় । পঞ্চায়েত সদস্যাকে বেধড়ক মারধর করে । তাঁকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে । খবরটা আমার কাছে এসেছে । এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ পঞ্চায়েত থেকেই গ্রহণ করা হবে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

চাঁচল 1 ব্লকের জেলাপরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, "অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোয়ারা বিবি ফোন করে আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন । নির্যাতিতা সদস্যা আমার কাছে এসে সব ঘটনা বলেছেন । শুধু এই দু'জনই নয়, সেখানকার অনেক তৃণমূল কর্মীও এই ঘটনা নিয়ে পার্টি অফিসে আসে । এসবের একটাই কারণ । বিভিন্ন কাজের কমিশনের টাকা আদায় । ইনতাজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক । ইনতাজ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি । একটা কথা বলতে পারি, তিনি দলে থেকে দলের ক্ষতি করছেন । এটা পুরোপুরি বাস্তব ।"

ফোনে যোগাযোগ করা হলে ইনতাজ হোসেন বলেন, "ওই সদস্যার সঙ্গে আমার কথাবার্তা কিংবা বচসা, কিছুই হয়নি । যে জায়গায় সাবমার্সিবল পাম্পটা বসানো হচ্ছে তার জায়গা আমিই ঠিক করে দিয়েছি । ওই জায়গাটি বাবলু দাসের । সেই কাজের ফাইলটাও আমি ইন্সপেকশন করেছি । ওই কাজটি নিম্নমানের হচ্ছে । আজ সেখানে ঠিকাদার কিংবা শ্রমিক-মিস্ত্রি যায়নি । ওখানে কোনও তোলাবাজির গল্পও নেই । ওরা 10 অথবা 18 শতাংশ পাচ্ছে বলেই খারাপ কাজকে সমর্থন করছে । আমি এলাকার 20 বছরের প্রতিনিধি । আমি কখনও খারাপ কাজকে সমর্থন করিনি । সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে, ভিত্তিহীন ।"

চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা আজ ইনতাজ হোসেন ছাড়াও জয়নাল আবেদিন, মুসলিমুদ্দিন, ঘেসরুদ্দিন ও সইদুলের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।

Intro:মালদা, ১১ মে : তোলাবাজিতে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল ১ ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর গ্রামে৷ অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী তোলা না দেওয়ায় ওই পঞ্চায়েত সদস্যার শ্লীলতাহানি করেছেন চাঁচল ১ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ইনতাজ হোসেন ও তাঁর দলবল৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইনতাজ হোসেন সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা পঞ্চায়েত সদস্যা৷ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ইনতাজ সাহেব জানিয়েছেন, এটা তাঁকে হেয় করার চক্রান্ত৷ Body:         অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর বুথের তৃণমূল সদস্যার অভিযোগ, "কিছুদিন আগে আমার এলাকায় একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর অনুমোদন পাওয়া যায়৷ এই কাজের জন্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়৷ আমার অধীনেই সেই কাজ শুরু হয়৷ এখন কাজ প্রায় শেষের দিকে৷ পাম্প বসানোর জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে৷ কিন্তু সেই কাজ অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই চাঁচল ১ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ও তাঁর দলবল আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা তোলা দাবি করে৷ আমি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করি৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঝেমধ্যেই ইনতাজ ও তাঁর দলবল আমাকে হুমকি দিচ্ছিল৷ তারা সাবমার্সিবল পাম্পটিও ভেঙে দিচ্ছিল৷ আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইনতাজ ও তাঁর লোকজন ফের আমার কাছে আসে৷ টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে মারধর করে৷ আমাকে লোহার রড দিয়ে মারা হয়৷ আমার মাথা ও বুকে আঘাত লাগে৷ আমার ছেলেরা জানতে পেরে আমাকে উদ্ধার করে৷ গোটা বিষয়টি জানিয়ে আমি চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি৷ ইনতাজকে সাসপেন্ড না করলে আমরা কেউ শান্তি পাচ্ছি না৷"
         শাসকদলের রাজনগর অঞ্চল সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, "রাজনগর বুথে ফুলমণি দাসের অধীনে সাবমার্সিবলের কাজ চলছিল৷ এলাকার কিছু লোক এই কাজের কমিশন আদায়ের জন্য প্রায় প্রতিদিনই ফুলমণিদির কাছে যায়৷ আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তারা নাকি ফের কমিশন আদায় করতে সেখানে যায়৷ সেই কমিশন না পেয়ে তারা সাবমার্সিবল পাম্পহাউসে ভাঙচুর চালায়৷ আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যাকে বেধড়ক মারধর করে৷ তাঁকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে৷ খবরটা আমার কাছে এসেছে৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত ইনতাজ হোসেন আগে আমাদের দলেই ছিল৷ এখন সে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে৷ এটা পঞ্চায়েতের কাজ৷ তাই এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ পঞ্চায়েত থেকেই গ্রহণ করা হবে৷"
         চাঁচল ১ ব্লকের জেলাপরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, "অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোয়ারা বিবি ফোন করে আমাকে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন৷ ফুলমণি দাসও আমার কাছে এসে সব ঘটনা বলেছেন৷ শুধু এই দু'জনই নয়, সেখানকার শ'খানেক তৃণমূল কর্মীও এই ঘটনা নিয়ে পার্টি অফিসে আসে৷ আমাকে বাড়ি থেকে ফোন করে পার্টি অফিসে নিয়ে আসে তারা৷ তারাও গোটা ঘটনা আমাকে জানিয়েছে৷ ফুলমণিদেবীর শরীরের বিভিন্ন অংশে মারা হয়েছে৷ কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে৷ আমি সেসব দেখেছি৷ ফুলমণিদেবীকে নাকি পিস্তল দেখিয়েও ভয় দেখানো হয়েছে৷ এসবের একটাই কারণ৷ বিভিন্ন কাজের কমিশনের টাকা আদায়৷ আমি সব শুনে নিজেও তদন্ত করেছি৷ দেখেছি, ইনতাজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক৷ ইনতাজ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি৷ একটা কথা বলতে পারি, তিনি দলে থেকে দলের ক্ষতি করছেন৷ এটা পুরোপুরি বাস্তব৷"
         গোটা ঘটনায় চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করেছেন ইনতাজ হোসেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করতেই প্রথমে যেন আকাশ থেকে পড়েন তিনি৷ যদিও পরে বলেন, তিনি এনিয়ে থানার সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তিনি বলেন, "আমার কাছেও খবরটা এসেছে৷ থানার সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেছি৷ ওই সদস্যার সঙ্গে আমার কথাবার্তা কিংবা বচসা, কিছুই হয়নি৷ যে জায়গায় সাবমার্সিবল পাম্পটা বসানো হচ্ছে, তার জায়গা আমিই ঠিক করে দিয়েছি৷ ওই জায়গাটি বাবলু দাসের৷ সেই কাজের ফাইলটাও আমি ইন্সপেকশন করেছি৷ ওই কাজটি নিম্নমানের হচ্ছে৷ আজ সেখানে ঠিকাদার কিংবা শ্রমিক-মিস্ত্রি যায়নি৷ ওখানে কোনও তোলাবাজির গল্পও নেই৷ ওরা ১০ অথবা ১৮ শতাংশ পাচ্ছে বলেই খারাপ কাজকে সমর্থন করছে৷ আমি এলাকার ২০ বছরের প্রতিনিধি৷ আমি কখনও খারাপ কাজকে সমর্থন করিনি৷ আসলে ওই বুথে ২০০ তৃমমূল কর্মী রয়েছে৷ তাদের মধ্যে ১৮০-১৮৫ কর্মী একদিকে, বাকিরা আরেকদিকে৷ সেখানকার ১১০-১১২ জন কর্মী এক প্যারাটিচারের কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা চিটিং করেছিল এসডিপিও'র স্বাক্ষর জাল করে৷ এটা সেই গ্রামের মানুষ মেনে নিতে পারেনি৷ এবার তারা ভোটও করতে পারেনি৷ সেই ঘটনাকে ঢাকা দিতে গিয়েই এরা পঞ্চায়েত সদস্যাকে ব্যবহার করছে৷ গোটা ঘটনাটাই রাজনৈতিক৷ গতকাল থেকে শুরু হওয়া এনআরইজিএস-এর কাজেও জালিয়াতি শুরু হয়েছে৷ ৫০ জন লেবারের নাম নথিভূক্ত করা হলেও মাত্র ২১ জন সেখানে কাজ করছে৷ গতকাল পঞ্চায়েত আধিকারিকরা এই ঘটনার তদন্ত করেছেন৷ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এই ঘটনাকেও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ আমার সঙ্গে ওই সদস্যার দেখাও হয়নি৷ সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে, ভিত্তিহীন৷ আমি আজ সেখানে যাইনি৷"
Conclusion:         এদিকে চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা আজ ইনতাজ হোসেন ছাড়াও জয়নাল আবেদিন, মুসলিমুদ্দিন, ঘেসরুদ্দিন ও সইদুলের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.