ETV Bharat / state

দশ হাজার টাকা নিয়ে পালাতেই হয়ে গেল ড্রাগস্ ! অভিযুক্তকে গনপিটুনি - হরিশ্চন্দ্রপুরের বারোডাঙ্গা

খোলা গৃহস্থ বাড়ি থেকে দশ হাজার টাকা নিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ল যুবক ৷ তল্লাশি চালিয়ে ওই টাকা পাওয়া যায়নি ৷ তবে তাঁর পকেট থেকে এক পুরিয়া ড্রাগস্‌ উদ্ধার হয় ৷ স্থানীয়রা তাঁকে ধরে নিয়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ৷

malda news
malda news
author img

By

Published : Sep 22, 2020, 10:47 PM IST

মালদা, 22 সেপ্টেম্বর : এক গৃহস্থ বাড়ি থেকে দশ হাজার টাকা নিয়ে পালাতে গিয়ে গৃহকর্ত্রীর হাতে ধরা পড়ল এক যুবক ৷ আজ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের বারোডাঙ্গা এলাকায় ৷ ওই যুবকের হেপাজত থেকে এক পুরিয়া মাদকও উদ্ধার হয়েছে ৷ এতেই স্থানীয়দের ধারণা, ড্রাগসের টাকা জোগাড় করতেই ওই যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ মারধর করার পর ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ এদিকে এই ঘটনার পর এলাকায় মাদকের রমরমা কারবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এলাকার বাসিন্দারা ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম সাগর মণ্ডল ৷ বয়স 22 বছর ৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরেরই গড়গড়ি এলাকায় ৷ জানা গেছে, বারোডাঙ্গার বাসিন্দা বেবি চক্রবর্তীর আজ ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি শোধ দেওয়ার কথা ছিল ৷ তিনি কিস্তির দশ হাজার টাকা ঘরে ফ্রিজের উপর রেখে বাইরে কাজ করছিলেন ৷ সেই সময় ঘর ফাঁকাই ছিল ৷ সুযোগ বুঝে ওই যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে ৷ ফ্রিজের উপর থাকা দশ হাজার টাকা নিয়ে সে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ৷ তখনই তাঁকে দেখে ফেলেন বেবিদেবী ৷ ততক্ষণে ওই যুবক খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে ৷ সেখানে আরও কিছু লোকজন ছিল ৷ বেবিদেবীর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন সাগরকে ধরে ফেলে ৷ অভিযোগ, ততক্ষণে টাকা অন্য হাতে তুলে দেয় সাগর ৷ তবে তার পকেট থেকে এক পুরিয়া ড্রাগস্‌ উদ্ধার হয় ৷ এরপরেই শুরু হয় মারধর ৷ ওই ড্রাগস্‌ সে কোথায় পেয়েছে তা জানার চেষ্টা করে স্থানীয়রা ৷ কিন্তু সে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ৷ এরপরেই স্থানীয়রা তাঁকে ধরে নিয়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ৷ তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে ৷ এনিয়ে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন বেবিদেবী ৷

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তী বলেন, "ছেলেটিকে যখন তাড়া করা হয়, তখন সে লুকিয়ে যায় ৷ সে যদি ভালোই হয়, তবে লুকোবে কেন ৷ তাঁর পকেট থেকে ড্রাগসে্‌র পুরিয়াও পাওয়া গিয়েছে ৷ গোটা হরিশ্চন্দ্রপুরে এখন মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে ৷ ঘরের ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে ৷ নেশার জন্য বাড়ির সর্বস্ব তাঁরা বিক্রি করে দিচ্ছে ৷ এই ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত ৷"

স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা ও হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, "এই নেশা যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে বহু ছেলে ৷ ড্রাগস্‌ কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রাহণ করা উচিত পুলিশের ৷ এনিয়ে আমরাও আন্দোলনে নামব ৷"

যদিও আজ খোওয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাননি বেবিদেবী ৷ তিনি বলেন, "আমি এখনও টাকা ফেরত পাইনি ৷ ওই যুবকের কাছ থেকে ড্রাগস্‌ উদ্ধার হয়েছে ৷ টাকা ফেরতের সঙ্গে আমি আরও জানতে চাই, এরা কোথা থেকে ড্রাগস্‌ পাচ্ছে ? এখানে এই ব্যবসা কারা চালাচ্ছে ? কারা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ?" হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ ওই যুবককে আপাতত আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে ৷

মালদা, 22 সেপ্টেম্বর : এক গৃহস্থ বাড়ি থেকে দশ হাজার টাকা নিয়ে পালাতে গিয়ে গৃহকর্ত্রীর হাতে ধরা পড়ল এক যুবক ৷ আজ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের বারোডাঙ্গা এলাকায় ৷ ওই যুবকের হেপাজত থেকে এক পুরিয়া মাদকও উদ্ধার হয়েছে ৷ এতেই স্থানীয়দের ধারণা, ড্রাগসের টাকা জোগাড় করতেই ওই যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ মারধর করার পর ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ এদিকে এই ঘটনার পর এলাকায় মাদকের রমরমা কারবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এলাকার বাসিন্দারা ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম সাগর মণ্ডল ৷ বয়স 22 বছর ৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরেরই গড়গড়ি এলাকায় ৷ জানা গেছে, বারোডাঙ্গার বাসিন্দা বেবি চক্রবর্তীর আজ ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি শোধ দেওয়ার কথা ছিল ৷ তিনি কিস্তির দশ হাজার টাকা ঘরে ফ্রিজের উপর রেখে বাইরে কাজ করছিলেন ৷ সেই সময় ঘর ফাঁকাই ছিল ৷ সুযোগ বুঝে ওই যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে ৷ ফ্রিজের উপর থাকা দশ হাজার টাকা নিয়ে সে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ৷ তখনই তাঁকে দেখে ফেলেন বেবিদেবী ৷ ততক্ষণে ওই যুবক খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে ৷ সেখানে আরও কিছু লোকজন ছিল ৷ বেবিদেবীর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন সাগরকে ধরে ফেলে ৷ অভিযোগ, ততক্ষণে টাকা অন্য হাতে তুলে দেয় সাগর ৷ তবে তার পকেট থেকে এক পুরিয়া ড্রাগস্‌ উদ্ধার হয় ৷ এরপরেই শুরু হয় মারধর ৷ ওই ড্রাগস্‌ সে কোথায় পেয়েছে তা জানার চেষ্টা করে স্থানীয়রা ৷ কিন্তু সে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ৷ এরপরেই স্থানীয়রা তাঁকে ধরে নিয়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ৷ তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে ৷ এনিয়ে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন বেবিদেবী ৷

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তী বলেন, "ছেলেটিকে যখন তাড়া করা হয়, তখন সে লুকিয়ে যায় ৷ সে যদি ভালোই হয়, তবে লুকোবে কেন ৷ তাঁর পকেট থেকে ড্রাগসে্‌র পুরিয়াও পাওয়া গিয়েছে ৷ গোটা হরিশ্চন্দ্রপুরে এখন মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে ৷ ঘরের ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে ৷ নেশার জন্য বাড়ির সর্বস্ব তাঁরা বিক্রি করে দিচ্ছে ৷ এই ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত ৷"

স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা ও হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, "এই নেশা যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে বহু ছেলে ৷ ড্রাগস্‌ কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রাহণ করা উচিত পুলিশের ৷ এনিয়ে আমরাও আন্দোলনে নামব ৷"

যদিও আজ খোওয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাননি বেবিদেবী ৷ তিনি বলেন, "আমি এখনও টাকা ফেরত পাইনি ৷ ওই যুবকের কাছ থেকে ড্রাগস্‌ উদ্ধার হয়েছে ৷ টাকা ফেরতের সঙ্গে আমি আরও জানতে চাই, এরা কোথা থেকে ড্রাগস্‌ পাচ্ছে ? এখানে এই ব্যবসা কারা চালাচ্ছে ? কারা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ?" হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ ওই যুবককে আপাতত আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.