ETV Bharat / state

কোরোনা আক্রান্তদের বাড়িতে কোয়ারান্টিন কিট, কেন্দ্রের নির্দেশিকা জানেই না জেলা প্রশাসন - কোরোনাভাইরাস

হোম আইনসোলেশনে থাকা কোরোনা সংক্রমিতদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে কোয়ারানটিন কিট । এমনই নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের । এই কিটে থাকবে কোরোনায় চিকিৎসার কিছু ওষুধ ও জরুরি সরঞ্জাম । যাতে সংক্রমিতদের গৃহবন্দী অবস্থায় কোনও অসুবিধা না হয় । তবে এই নির্দেশ পালন তো দূর । এমন কোনও নির্দেশ আছে কি না তাও জানা নেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ।

quarantine kit
কোয়ারানটিন কিট
author img

By

Published : Aug 21, 2020, 2:05 PM IST

মালদা, 21 অগাস্ট : বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে কোরোনা হটস্পট হয়ে উঠেছে মালদা জেলা ৷ গঙ্গা থেকে পাহাড় পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কোরোনা সংক্রমণ এই জেলাতেই ৷ প্রতিদিনই বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা৷ বর্তমানে জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার হাজরের গণ্ডি । এমন পরিস্থিতিতে জেলার দুটি কোভিড হাসপাতাল ও আটটি সেফ হোম প্রায় ভরতি ৷ তাই বেশিরভাগ কোরোনা সংক্রমিতকে এখন বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৷ এসব রোগীদের জন্যও কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু নির্দেশিকা রয়েছে ৷ সেই নির্দেশিকায় বলা রয়েছে, কোনও কোরোনা সংক্রমিতকে হোম কোয়ারানটিনে রাখা হলে তাঁকে একটি কোয়ারানটিন কিট দিতে হবে ৷ ওই কিটে থাকবে ভিটামিন B কমপ্লেক্স, ভিটামিন C, ভিটামিন D3, স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক, সাবান সহ বেশ কয়েকটি জিনিস ৷

সংক্রমিতকে অন্তত 17 দিন কোয়ারানটিনে রাখতে হবে ৷ সংক্রমিতের বাড়ি স্যানিটাইজ় ও ঘেরাবন্দী করার কথাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৷ কিন্তু এই জেলায় কোয়ারানটিন কিট কাউকেই সরবরাহ করা হচ্ছে না ৷ এমন কোনও নির্দেশিকাই নাকি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আসেনি ৷ একই বক্তব্য ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষেরও ৷ তবে স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী হোম কোয়ারানটিনে থাকা সংক্রমিতদের টেলি মেডিসিনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে ৷ যদিও মালদা শহরে এমন সুবিধা পাননি বলেই জানাচ্ছেন সংক্রমিতদের একাংশ ৷

জেলায় কোরোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় একাংশকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে । কোরোনা আতঙ্কে এখন তাঁরা কার্যত সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েছেন । ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, বিশেষ করে ওষুধপত্র কিনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের । এই পরিস্থিতিতে তাদের সহায়ক হতে পারত কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা । কিন্তু সেটাও এই জেলায় পালন করা হচ্ছে না বলেই দাবি সংক্রমিতদের একাংশের ।

মালদা শহরের একাধিক কোরোনা আক্রান্ত জানিয়েছেন, লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর তাঁদের কাউকে ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ বা কাউকে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ফোন করা হয়েছিল ৷ ফোনে শুধু বলা হয়, তাঁরা যেন কেউ বাড়ি থেকে না বোরোয় ৷ পরিবারের সবাই যেন অন্তত 17 দিন নিজেদের গৃহবন্দী করে রাখে ৷ তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে সংক্রমিতদের বাড়ি লাল ফিতে দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ৷ স্যানিটাইজ়িংও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা ৷ কিন্তু কেউ কোনও কোয়ারানটিন কিট পাননি ৷ এমনকি স্বাস্থ্য দপ্তর কিংবা পৌরসভার পক্ষ থেকে চিকিৎসার বিষয়ে কোনও খোঁজ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ সংক্রমিতদের ৷

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ারানটিন কিট সম্পর্কীয় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নির্দেশিকা দপ্তরে এসে পৌঁছোয়নি ৷ তবে সম্প্রতি দপ্তরের পক্ষ থেকে কোরোনা সংক্রমিতদের টেলি মেডিসিন সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷ এর জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে ৷ সংক্রমিতরা ওই অফিসারকে ফোন করে নিজেদের শারীরিক সমস্যার কথা জানাতে পারবেন ৷ সেই সমস্যার কথা শুনে চিকিৎসক ওষুধ লিখে দেন ৷ দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই ওষুধ বিনামূল্যে সংক্রমিতদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ সংক্রমিতরা স্বাস্থ্য দপ্তরে ফোন করলেই নোডাল অফিসারের ফোন নম্বর তাঁদের দিয়ে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিত কোনও কোয়ারানটিন কিটের কথা দপ্তরের জানা নেই ৷

মালদায় কোয়ারানটিন কিট নিয়ে বিভ্রান্তি

এমন নির্দেশিকার কথা জানা নেই ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষেরও৷ তিনি বলেন, “কোরোনা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমরা তা পালন করছি ৷ হোম কোয়ারানটিনে থাকা কোরোনা সংক্রমিতদের জন্য যে কোনও কিটের ব্যবস্থা রয়েছে তা আমাদের জানা ছিল না ৷ বিষয়টি নিয়ে আমি জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব ৷ নিয়ম থাকলে কিট কেন সংক্রমিতদের দেওয়া হবে না তাও জানতে চাইব ৷ যদি এমন কোনও নিয়ম থাকে, তবে তা পালন করা উচিত ৷ আমি এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব ৷ নিয়ম থাকলে হোম কোয়ারানটিনে থাকা কোরোনা সংক্রমিতদের এই কিট নিশ্চয়ই দেওয়া হবে ৷ আপাতত আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ সংক্রমিত হলে তার বাড়ি স্যানিটাইজ় করতে হবে ৷ সংক্রমিতকে প্রয়োজনে হাসপাতাল কিংবা সেফ হোমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ আমরা সেসব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি ৷”

মালদা, 21 অগাস্ট : বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে কোরোনা হটস্পট হয়ে উঠেছে মালদা জেলা ৷ গঙ্গা থেকে পাহাড় পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কোরোনা সংক্রমণ এই জেলাতেই ৷ প্রতিদিনই বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা৷ বর্তমানে জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার হাজরের গণ্ডি । এমন পরিস্থিতিতে জেলার দুটি কোভিড হাসপাতাল ও আটটি সেফ হোম প্রায় ভরতি ৷ তাই বেশিরভাগ কোরোনা সংক্রমিতকে এখন বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৷ এসব রোগীদের জন্যও কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু নির্দেশিকা রয়েছে ৷ সেই নির্দেশিকায় বলা রয়েছে, কোনও কোরোনা সংক্রমিতকে হোম কোয়ারানটিনে রাখা হলে তাঁকে একটি কোয়ারানটিন কিট দিতে হবে ৷ ওই কিটে থাকবে ভিটামিন B কমপ্লেক্স, ভিটামিন C, ভিটামিন D3, স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক, সাবান সহ বেশ কয়েকটি জিনিস ৷

সংক্রমিতকে অন্তত 17 দিন কোয়ারানটিনে রাখতে হবে ৷ সংক্রমিতের বাড়ি স্যানিটাইজ় ও ঘেরাবন্দী করার কথাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৷ কিন্তু এই জেলায় কোয়ারানটিন কিট কাউকেই সরবরাহ করা হচ্ছে না ৷ এমন কোনও নির্দেশিকাই নাকি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আসেনি ৷ একই বক্তব্য ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষেরও ৷ তবে স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী হোম কোয়ারানটিনে থাকা সংক্রমিতদের টেলি মেডিসিনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে ৷ যদিও মালদা শহরে এমন সুবিধা পাননি বলেই জানাচ্ছেন সংক্রমিতদের একাংশ ৷

জেলায় কোরোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় একাংশকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে । কোরোনা আতঙ্কে এখন তাঁরা কার্যত সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েছেন । ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, বিশেষ করে ওষুধপত্র কিনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের । এই পরিস্থিতিতে তাদের সহায়ক হতে পারত কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা । কিন্তু সেটাও এই জেলায় পালন করা হচ্ছে না বলেই দাবি সংক্রমিতদের একাংশের ।

মালদা শহরের একাধিক কোরোনা আক্রান্ত জানিয়েছেন, লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর তাঁদের কাউকে ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ বা কাউকে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ফোন করা হয়েছিল ৷ ফোনে শুধু বলা হয়, তাঁরা যেন কেউ বাড়ি থেকে না বোরোয় ৷ পরিবারের সবাই যেন অন্তত 17 দিন নিজেদের গৃহবন্দী করে রাখে ৷ তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে সংক্রমিতদের বাড়ি লাল ফিতে দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ৷ স্যানিটাইজ়িংও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা ৷ কিন্তু কেউ কোনও কোয়ারানটিন কিট পাননি ৷ এমনকি স্বাস্থ্য দপ্তর কিংবা পৌরসভার পক্ষ থেকে চিকিৎসার বিষয়ে কোনও খোঁজ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ সংক্রমিতদের ৷

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ারানটিন কিট সম্পর্কীয় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নির্দেশিকা দপ্তরে এসে পৌঁছোয়নি ৷ তবে সম্প্রতি দপ্তরের পক্ষ থেকে কোরোনা সংক্রমিতদের টেলি মেডিসিন সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷ এর জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে ৷ সংক্রমিতরা ওই অফিসারকে ফোন করে নিজেদের শারীরিক সমস্যার কথা জানাতে পারবেন ৷ সেই সমস্যার কথা শুনে চিকিৎসক ওষুধ লিখে দেন ৷ দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই ওষুধ বিনামূল্যে সংক্রমিতদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ সংক্রমিতরা স্বাস্থ্য দপ্তরে ফোন করলেই নোডাল অফিসারের ফোন নম্বর তাঁদের দিয়ে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিত কোনও কোয়ারানটিন কিটের কথা দপ্তরের জানা নেই ৷

মালদায় কোয়ারানটিন কিট নিয়ে বিভ্রান্তি

এমন নির্দেশিকার কথা জানা নেই ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষেরও৷ তিনি বলেন, “কোরোনা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমরা তা পালন করছি ৷ হোম কোয়ারানটিনে থাকা কোরোনা সংক্রমিতদের জন্য যে কোনও কিটের ব্যবস্থা রয়েছে তা আমাদের জানা ছিল না ৷ বিষয়টি নিয়ে আমি জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব ৷ নিয়ম থাকলে কিট কেন সংক্রমিতদের দেওয়া হবে না তাও জানতে চাইব ৷ যদি এমন কোনও নিয়ম থাকে, তবে তা পালন করা উচিত ৷ আমি এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব ৷ নিয়ম থাকলে হোম কোয়ারানটিনে থাকা কোরোনা সংক্রমিতদের এই কিট নিশ্চয়ই দেওয়া হবে ৷ আপাতত আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ সংক্রমিত হলে তার বাড়ি স্যানিটাইজ় করতে হবে ৷ সংক্রমিতকে প্রয়োজনে হাসপাতাল কিংবা সেফ হোমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ আমরা সেসব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.