মালদা, 14 এপ্রিল : পয়লা বৈশাখ মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমান বহু মানুষ ৷ কিন্তু এবার কোরোনার জেরে প্রায় সবই বন্ধ ৷ কোথাও নম নম করে পুজো সারলেও বেশিরভাগ মন্দিরে নোটিস দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পুজো ৷
মালদায় বছরের প্রথম দিন ভিড় দেখা যায় মনস্কামনা মন্দির ও বুড়ি কালী মন্দিরে ৷ লাইন পড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকেই ৷ শুধু শহর নয়, আজকের দিনে ভিড় দেখা যায় শহর থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জহুরাতলা চণ্ডী মন্দিরে হাজার হাজর মানুষ ভিড় জমায় ৷ কিন্তু, কোরোনা সংক্রমণের ফলে বদলেছে এই ছবিটা ৷ কোরোনার প্রভাব রুখতে সরকারের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে জহুরাতলা মন্দির কর্তৃপক্ষ ৷ এবার মন্দিরের ভিতর ছোটো করে পুজো করা হবে ৷ কোনও ঢাক বাজানো হবে না ৷ মেলা ও বাৎসরিক উৎসবও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷
মন্দিরের সেবাইত মুকুল তিওয়ারি বলেন, "কোরোনা মোকাবিলায় এবার আমরা বাৎসরিক উৎসব ও মেলা বন্ধ করেছি ৷ কোনওরকমে মায়ের পুজো হচ্ছে ৷ কাউকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ যাঁরা পুজো দিতে আসছেন, বাইরে থেকেই তাঁদের প্রসাদ গ্রহণ করা হয়েছে ৷ আমরা নিজেরাও হাত-পা স্যানিটাইজ় করে মন্দিরে ঢুকেছি ৷ মানুষকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না ৷"
জহুরাতলা মন্দিরে তবু পুজো হলেও লকডাউনে নোটিস দিয়ে পুজো বন্ধ রেখেছে মালদা শহরের মনস্কামনা মন্দিরে ৷ মন্দিরের দরজায় তালা দেওয়া ৷ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে রাকেশ তিওয়ারি বলেন, "নববর্ষের দিন এই মন্দিরে কয়েক হাজার মানুষ আসে ৷ কিন্তু, এবার লকডাউন চলছে ৷ আমাদের মনে হয়েছে, আগে মানুষের জীবন ৷ তাই আমরা আজ পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ মন্দিরে নোটিশ দিয়ে একথা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷"