ETV Bharat / state

দেবী এখানে বড় ঠাকুরণ, 987 বছরে পুরাতন মালদার সুকুলবাড়ির পুজো

দেবী এখানে সিদ্ধেশ্বরী । সবার মুখে তিনি বড় ঠাকুরণ । প্রতিবারই তিনি না কি নানাবিধ রূপে দেখা দেন । এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ।

author img

By

Published : Oct 3, 2019, 10:10 PM IST

Updated : Oct 3, 2019, 11:31 PM IST

বড় ঠাকুরণ

মালদা : দেবী এখানে সিদ্ধেশ্বরী । সবার মুখে তিনি বড় ঠাকুরণ । কৃষ্ণা নবমী তিথিতে তাঁর পুজো শুরু হয় । প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নানাবিধ ভোগের আয়োজন । হয় শতাধিক বলি । তবে প্রতিমা বেদিতে ওঠে পঞ্চমী তিথিতে । দশমীতে লণ্ঠন-মশাল জ্বালিয়ে, ঘুঁটের ধোঁয়ায় তিনি নারায়ণী রূপ পান । এবার এই পুজো 987 বছরে পড়ল । এলাকায় ভীষণ জাগ্রত হিসেবে নামডাক রয়েছে বড় ঠাকুরণের । প্রতিবারই তিনি না কি নানাবিধ রূপে দেখা দেন । এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ।

বড় ঠাকুরণের পুজো হয় পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগেশ্বরপুর এলাকায় । পারিবারিক পুজো । এলাকায় সুকুলবাড়ির পুজো নামে খ্যাত বড় ঠাকুরণ । সুকুল পরিবারের দাবি, শুধু রাজ্যে নয়, গোটা দেশের প্রাচীনতম পুজোগুলির অন্যতম এই পুজো । সুকুল বংশের বর্তমান প্রজন্ম শ্যামলকুমার সুকুল বলেন, "আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা । সেখানেই ছিল তাঁদের জমিদারি । পারিবারিক নথি অনুযায়ী 987 বছর আগে এই পুজোর প্রবর্তন করেন আমাদের পূর্বপুরুষ ধুরন্ধর শুক্লা ও বংশধর শুক্লা । তাঁরা ছিলেন দুই ভাই । মায়ের স্বপ্নাদেশে এই পুজো শুরু হয় । প্রায় 500 বছর আগে তাঁদের উত্তরপুরুষরা দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । এক ভাগ চলে আসে অবিভক্ত বাংলাদেশের রাজশাহীতে । সেখানকার জমিদারি পায় পরিবারের সেই অংশ । তখন থেকে দু'জায়গাতেই এই পুজো হত । বাংলাদেশ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রায় 70 বছর আগে পুরাতন মালদার সাহাপুরে চলে আসেন । তখন থেকে পারিবারিক পুজো এখানে চলে আসে । বংশ ভাগ হতে থাকলেও পারিবারিক এই পুজোয় কখনও ছেদ পড়েনি । প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কৃষ্ণা নবমী তিথি থেকে এই পুজো শুরু হয় । মহালয়ার দিন বড় ও মেজো ঠাকুরণের পুজো হয় । পঞ্চমীর দিন বেদিতে মা-কে তোলা হয় । প্রতিপদের দিন লাল শাক ও ঘি মাখানো রুটি দিয়ে মা-কে ভোগ দেওয়া হয় । তৃতীয়াতে পাঁচ হাঁড়ি ভাত ও পাঁচ হাঁড়ি ডাল তৈরি করে মা-কে পঞ্চসতীর ভোগ নিবেদন করা হয় । এই পুজোয় বলি প্রথা চালু রয়েছে ।"

শ্যামলবাবুর বড় মেয়ে মানসী সুকুল পারিবারিক পুজোপার্বণ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন । এলাকার লোকজন-সহ বড় ঠাকুরণের ভক্তরা তাঁকে মায়ের সেবিকা রূপে মেনে থাকেন । মানসী বলেন, "মা এখানে সিদ্ধেশ্বরী নামেই খ্যাত । বড় ঠাকুরণ মানেই দেবী সিদ্ধেশ্বরী । মা ভীষণ জাগ্রত । প্রতি বছর পুজোর সময় মা এখানে বিভিন্ন রূপে দেখা দেন । এবারও তিনি বোধনের ঘট বসানোর সঙ্গে সঙ্গে একটি ছোট্ট মেয়ের রূপে দেখা দিয়ে গেছেন । মা এখানে রক্তপিপাসু । সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বলি হয় । তবে দু'বছর আগে মোষ বলি বন্ধ হয়েছে । মোষের পরিবর্তে এখন চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় । আমাদের এই পুজোয় নিরঞ্জন নেই । মা এখানে পাষাণী রূপে পূজিত হন । দশমীতে নদীতে গিয়ে তিনি নারায়ণী রূপ পান । তাই পাষাণী মা-কে আমরা ঘুঁটের ধোঁয়া আর লণ্ঠনের আলো দিয়ে বিদায় দিই । গ্রামের মানুষজন নদীতে প্রদীপ জ্বালায় । বড় ঠাকুরণ এখানে ঘোরাঘুরি করার জন্য এই এলাকায় কোনও অপঘাতে মৃত্যু হয় না কিংবা কেউ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয় না ।"

সুকুল পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপদের দিন এখানে দেবীকে 55 ভোগ নিবেদন করা হয় । দ্বিতীয়াতে ফল নৈবেদ্য, তৃতীয়াতে অন্নভোগ, চতুর্থীতে দেবীকে দুগ্ধ স্নান করানো হয় । পঞ্চমীতে মূল পুজোর আয়োজন শুরু হয় । মহাষষ্ঠী তিথিতে ফল নৈবেদ্য নিবেদন করে সপ্তমীর সকালে দেবীকে কচুর শাক, ডাল, আলু সিদ্ধ ও খুদের ভাত দেওয়া হয় । রাতে ছাগল বলির পর দেবীকে মাছ ও মাংসের ভোগ দেওয়া হয় । মহাষ্টমীতেও একাধিক বলির পর দেবীকে মাছ ও মাংসের ভোগ নিবেদন করা হয় । নবমীতে সেই ভোগের ব্যতিক্রম হয় না । দশমীতে মাছ-মাংসের ভোগ নিবেদনের পর লণ্ঠন-মশালের আলোয় পথ দেখিয়ে ও ঘুঁটের ধোঁয়া দিয়ে দেবীকে মহানন্দার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় ।

দেখুন ভিডিয়ো

মালদা : দেবী এখানে সিদ্ধেশ্বরী । সবার মুখে তিনি বড় ঠাকুরণ । কৃষ্ণা নবমী তিথিতে তাঁর পুজো শুরু হয় । প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নানাবিধ ভোগের আয়োজন । হয় শতাধিক বলি । তবে প্রতিমা বেদিতে ওঠে পঞ্চমী তিথিতে । দশমীতে লণ্ঠন-মশাল জ্বালিয়ে, ঘুঁটের ধোঁয়ায় তিনি নারায়ণী রূপ পান । এবার এই পুজো 987 বছরে পড়ল । এলাকায় ভীষণ জাগ্রত হিসেবে নামডাক রয়েছে বড় ঠাকুরণের । প্রতিবারই তিনি না কি নানাবিধ রূপে দেখা দেন । এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ।

বড় ঠাকুরণের পুজো হয় পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগেশ্বরপুর এলাকায় । পারিবারিক পুজো । এলাকায় সুকুলবাড়ির পুজো নামে খ্যাত বড় ঠাকুরণ । সুকুল পরিবারের দাবি, শুধু রাজ্যে নয়, গোটা দেশের প্রাচীনতম পুজোগুলির অন্যতম এই পুজো । সুকুল বংশের বর্তমান প্রজন্ম শ্যামলকুমার সুকুল বলেন, "আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা । সেখানেই ছিল তাঁদের জমিদারি । পারিবারিক নথি অনুযায়ী 987 বছর আগে এই পুজোর প্রবর্তন করেন আমাদের পূর্বপুরুষ ধুরন্ধর শুক্লা ও বংশধর শুক্লা । তাঁরা ছিলেন দুই ভাই । মায়ের স্বপ্নাদেশে এই পুজো শুরু হয় । প্রায় 500 বছর আগে তাঁদের উত্তরপুরুষরা দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । এক ভাগ চলে আসে অবিভক্ত বাংলাদেশের রাজশাহীতে । সেখানকার জমিদারি পায় পরিবারের সেই অংশ । তখন থেকে দু'জায়গাতেই এই পুজো হত । বাংলাদেশ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রায় 70 বছর আগে পুরাতন মালদার সাহাপুরে চলে আসেন । তখন থেকে পারিবারিক পুজো এখানে চলে আসে । বংশ ভাগ হতে থাকলেও পারিবারিক এই পুজোয় কখনও ছেদ পড়েনি । প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কৃষ্ণা নবমী তিথি থেকে এই পুজো শুরু হয় । মহালয়ার দিন বড় ও মেজো ঠাকুরণের পুজো হয় । পঞ্চমীর দিন বেদিতে মা-কে তোলা হয় । প্রতিপদের দিন লাল শাক ও ঘি মাখানো রুটি দিয়ে মা-কে ভোগ দেওয়া হয় । তৃতীয়াতে পাঁচ হাঁড়ি ভাত ও পাঁচ হাঁড়ি ডাল তৈরি করে মা-কে পঞ্চসতীর ভোগ নিবেদন করা হয় । এই পুজোয় বলি প্রথা চালু রয়েছে ।"

শ্যামলবাবুর বড় মেয়ে মানসী সুকুল পারিবারিক পুজোপার্বণ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন । এলাকার লোকজন-সহ বড় ঠাকুরণের ভক্তরা তাঁকে মায়ের সেবিকা রূপে মেনে থাকেন । মানসী বলেন, "মা এখানে সিদ্ধেশ্বরী নামেই খ্যাত । বড় ঠাকুরণ মানেই দেবী সিদ্ধেশ্বরী । মা ভীষণ জাগ্রত । প্রতি বছর পুজোর সময় মা এখানে বিভিন্ন রূপে দেখা দেন । এবারও তিনি বোধনের ঘট বসানোর সঙ্গে সঙ্গে একটি ছোট্ট মেয়ের রূপে দেখা দিয়ে গেছেন । মা এখানে রক্তপিপাসু । সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বলি হয় । তবে দু'বছর আগে মোষ বলি বন্ধ হয়েছে । মোষের পরিবর্তে এখন চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় । আমাদের এই পুজোয় নিরঞ্জন নেই । মা এখানে পাষাণী রূপে পূজিত হন । দশমীতে নদীতে গিয়ে তিনি নারায়ণী রূপ পান । তাই পাষাণী মা-কে আমরা ঘুঁটের ধোঁয়া আর লণ্ঠনের আলো দিয়ে বিদায় দিই । গ্রামের মানুষজন নদীতে প্রদীপ জ্বালায় । বড় ঠাকুরণ এখানে ঘোরাঘুরি করার জন্য এই এলাকায় কোনও অপঘাতে মৃত্যু হয় না কিংবা কেউ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয় না ।"

সুকুল পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপদের দিন এখানে দেবীকে 55 ভোগ নিবেদন করা হয় । দ্বিতীয়াতে ফল নৈবেদ্য, তৃতীয়াতে অন্নভোগ, চতুর্থীতে দেবীকে দুগ্ধ স্নান করানো হয় । পঞ্চমীতে মূল পুজোর আয়োজন শুরু হয় । মহাষষ্ঠী তিথিতে ফল নৈবেদ্য নিবেদন করে সপ্তমীর সকালে দেবীকে কচুর শাক, ডাল, আলু সিদ্ধ ও খুদের ভাত দেওয়া হয় । রাতে ছাগল বলির পর দেবীকে মাছ ও মাংসের ভোগ দেওয়া হয় । মহাষ্টমীতেও একাধিক বলির পর দেবীকে মাছ ও মাংসের ভোগ নিবেদন করা হয় । নবমীতে সেই ভোগের ব্যতিক্রম হয় না । দশমীতে মাছ-মাংসের ভোগ নিবেদনের পর লণ্ঠন-মশালের আলোয় পথ দেখিয়ে ও ঘুঁটের ধোঁয়া দিয়ে দেবীকে মহানন্দার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় ।

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:মালদা, 03 অক্টোবর : দেবী এখানে সিদ্ধেশ্বরী। সবার মুখে তিনি বড় ঠাকুরণ। কৃষ্ণা নবমী তিথিতে তাঁর পুজো শুরু হয়। প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নানাবিধ ভোগের আয়োজন। হয় শতাধিক বলি। তবে প্রতিমা বেদীতে ওঠে পঞ্চমী তিথিতে। দশমীতে লন্ঠন-মশাল জ্বালিয়ে, ঘুঁটের ধোঁয়ায় তিনি নারায়ণী রূপ পান। এবার এই পুজো 987 বছরে পড়ল। এলাকায় ভীষণ জাগ্রত হিসাবে নামডাক রয়েছে বড় ঠাকুরণের। প্রতিবারই তিনি নাকি নানাবিধ রূপে দেখা দেন। এবারও তার নাকি ব্যতিক্রম হয়নি।


Body:বড় ঠাকুরণের পুজো হয় পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগেশ্বরপুর এলাকায়। পারিবারিক পুজো। এলাকায় সুকুলবাড়ির পুজো নামে খ্যাত বড় ঠাকুরণ। সুকুল পরিবারের দাবি, শুধু রাজ্যে নয়, গোটা দেশের প্রাচীনতম পুজোগুলির অন্যতম এই পুজো। সুকুল বংশের বর্তমান প্রজন্ম শ্যামলকুমার সুকুল বলেন, "আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা। সেখানেই ছিল তাঁদের জমিদারি। পারিবারিক নথি অনুযায়ী 987 বছর আগে এই পুজোর প্রবর্তন করেন আমাদের পূর্বপুরুষ ধুরন্ধর শুক্লা ও বংশধর শুক্লা। তাঁরা ছিলেন দুই ভাই। মায়ের স্বপ্নাদেশে এই পুজো শুরু হয়। প্রায় 500 বছর আগে তাঁদের উত্তরপুরুষরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক ভাগ চলে আসে অবিভক্ত বাংলাদেশের রাজশাহীতে। সেখানকার জমিদারি পায় পরিবারের সেই অংশ। তখন থেকে দুই জায়গাতেই এই পুজো হত। বাংলাদেশ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রায় 70 বছর আগে পুরাতন মালদার সাহাপুরে চলে আসেন। তখন থেকে পারিবারিক পুজো এখানে চলে আসে। বংশ ভাগ হতে থাকলেও পারিবারিক এই পুজোয় কখনও ছেদ পড়েনি। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কৃষ্ণা নবমী তিথি থেকে এই পুজো শুরু হয়। মহালয়ার দিন বড় ও মেজো ঠাকুরণের পুজো হয়। পঞ্চমীর দিন বেদীতে মা'কে তোলা হয়। প্রতিপদের দিন লাল শাক ও ঘি মাখানো রুটি দিয়ে মা'কে ভোগ দেওয়া হয়। তৃতীয়াতে 5 হাঁড়ি ভাত ও 5 হাঁড়ি ডাল তৈরি করে মা'কে পঞ্চসতীর ভোগ নিবেদন করা হয়। এই পুজোয় বলি প্রথা চালু রয়েছে।"
শ্যামলবাবুর বড়ো মেয়ে মানসী সুকুল পারিবারিক পুজোপার্বণ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। এলাকার লোকজন সহ বড় ঠাকুরণের ভক্তরা তাঁকে মায়ের সেবিকা রূপে মেনে থাকেন। মানসীদেবী বলেন, "মা এখানে সিদ্ধেশ্বরী নামেই খ্যাত। বড় ঠাকুরণ মানেই দেবী সিদ্ধেশ্বরী। মা ভীষণ জাগ্রত। প্রতি বছর পুজোর সময় মা এখানে বিভিন্ন রূপে দেখা দেন। এবারও তিনি বোধনের ঘট বসানোর সঙ্গে সঙ্গে একটি ছোট্ট মেয়ের রূপে দেখা দিয়ে গেছেন। মা এখানে রক্তপিপাসু। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বলি হয়। তবে দু'বছর আগে মোষ বলি বন্ধ হয়েছে। মোষের পরিবর্তে এখন চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। আমাদের এই পুজোয় বিসর্জন নেই। মা এখানে পাষাণী রূপে পূজিতা হন। দশমীতে নদীতে গিয়ে তিনি নারায়ণী রূপ পান। তাই পাষানী মা'কে আমরা ঘুঁটের ধোঁয়া আর লণ্ঠনের আলো দিয়ে বিদায় দিই। গ্রামের মানুষজন নদীতে প্রদীপ জ্বালায়। বড় ঠাকুরণ এখানে ঘোরাঘুরি করার জন্য এই এলাকায় কোনও অপঘাতে মৃত্যু হয় না কিংবা কেউ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয় না।"


Conclusion:সুকুল পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপদের দিন এখানে দেবীকে 55 ভোগ নিবেদন করা হয়। দ্বিতীযাতে ফল নৈবেদ্য, তৃতীযাতে অন্নভোগ, চতুর্থীতে দেবীকে দুগ্ধ স্নান করানো হয়। পঞ্চমীতে মূল পুজোর আয়োজন শুরু হয়। মহাষষ্ঠী তিথিতে ফল নৈবেদ্য নিবেদন করে সপ্তমীর সকালে দেবীকে কচুর শাক, ডাল, আলু সিদ্ধ ও খুদের ভাত দেওয়া হয়। রাতে ছাগ বলির পর দেবীকে মাছ ও মাংসের ভোগ দেওয়া হয়। মহাষ্টমীতেও একাধিক বলির পর দেবীকে মাছ ও মাংসের ভোগ নিবেদন করা হয়। নবমীতে সেই ভোগের ব্যতিক্রম হয় না। দশমীতে মাছ-মাংসের ভোগ নিবেদনের পর লন্ঠন-মশালের আলোয় পথ দেখিয়ে ও ঘুঁটের ধোঁয়া দিয়ে দেবীকে মহানন্দার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
Last Updated : Oct 3, 2019, 11:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.