ETV Bharat / state

Laxmi puja 2023: পুরাণে বর্ণিত দুর্গার প্রতিরূপ, অষ্টাদশভূজা মহালক্ষ্মীর পুজোয় মাতল সারদাতীর্থম - লক্ষ্মীপুজো

আজ বাঙালির ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ৷ তেমনই অন্য়ধরণের লক্ষীপুজো পালিত হয়ে আসছে সারদাতীর্থম আশ্রমের পুজো ৷

Laxmi puja 2023 News
অষ্টাদশভূজা মহালক্ষ্মীর পুজো শুরু সারদাতীর্থমে
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 28, 2023, 4:37 PM IST

অষ্টাদশভূজা মহালক্ষ্মীর পুজো শুরু সারদাতীর্থমে

মালদা, 28 অক্টোবর: দশমী শেষে কার্নিভালে অংশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিদায় নিয়েছেন মা দুর্গা ৷ আজ বাঙালির ঘরে লক্ষ্মীপুজো ৷ ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় দেবীকে সৌভাগ্যের প্রতিরূপ হিসাবেই দেখে আসছে বাঙালি ৷ তাই আজও বাংলার সমাজে 'লক্ষ্মীশ্রী' শব্দটি বহুল চর্চিত ৷ প্রাচীন ধারণা, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে মর্তে নেমে আসেন দেবী ৷ তিনি নাকি প্রতি ঘরে ঘুরে বেড়ান ৷ কোজাগরী অর্থাৎ কে জেগে আছ ৷ সেখান থেকেই কোজাগরী শব্দের উৎপত্তি ৷ তাই বাঙালি রমণীরা বাড়ির মূল দরজা থেকে গর্ভগৃহ পর্যন্ত আলপনায় দেবীর পদচিহ্ন এঁকে দেন ৷ রাতভর দীপ জ্বালিয়ে দেবীর প্রতীক্ষা করেন ৷

প্রচলিত বাঙালি ধারণা থেকে অনেকটাই আলাদা হবিবপুরের প্রত্যন্ত গাংগুরিয়া গ্রামের শ্রী শ্রী সারদা তীর্থম আশ্রমের লক্ষ্মী আরাধনা ৷ 2022 সাল থেকে এই আশ্রমে পূজিত হন মহালক্ষ্মী ৷ এখানে তিনি দ্বিভূজা নন, তিনি অষ্টাদশভূজা ৷ তাঁর 16 হাতে নানাবিধ অস্ত্র ৷ বাকি এক হাতে পদ্ম, অন্য হাতে তাঁর বরাভয় মুদ্রা ৷ এমন লক্ষ্মীপ্রতিমা অন্য কোথাও দেখা যায় কিনা সন্দেহ রয়েছে ৷

আশ্রম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মা লক্ষ্মী শুধু ধনদৌলতের দেবীই নন ৷ তিনি মানবজাতির রক্ষাকর্ত্রীও ৷ তাঁরই মধ্যে বিরাজমান একাধিক দেবতা ৷ তিনি যেমন তাঁর ভক্তের সৌভাগ্য নিয়ে আসেন, তেমনই নানাবিধ আক্রমণ থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন ৷ সেই ধারণা থেকেই এখানে অষ্টদশভূজা মা লক্ষ্মীর পুজো হয়ে আসছে ৷ লক্ষ্মীর আগে এখানে গণেশ, শিব, নারায়ণ, সূর্য, দুর্গা-সহ 15 দেবদেবীর পুজো হয় ৷ তারপর শুরু হয় মা লক্ষ্মীর পুজো ৷ এই পুজোর ঘট স্থাপনে প্রয়োজন বট, অশ্বত্থ, আম, পাকুড় ও অশোক পল্লব ৷ এখানে একই দিনে দু'বেলা দুই রূপে পূজিতা হন দেবী ৷ দিনে তিনি মহালক্ষ্মী, রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী ৷ দিনের পুজো শেষে তাঁর হোমে লাগে 108টি বেলপাতা ৷ রাতের পুজোয় প্রয়োজন 1005টি বেলপাতা ৷ দু'বেলা দুই রীতিতে পুজো হয় ৷ পূর্ণিমা শেষে প্রতিপদ তিথিতে দুধ, দই ও মিষ্টি সহযোগে তাঁর বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয় ৷ সেদিন সন্ধেয় স্থানীয় টাঙন নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় ৷

শ্রী শ্রী সারদাতীর্থম আশ্রমের সম্পাদক স্বামী আত্মপ্রাণানন্দ বলেন, "1998 সালে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা হয় ৷ 2002 সাল থেকে মহালক্ষ্মী পুজো চালু করেন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী গিরিজাত্মানন্দজি মহারাজ ৷ মা দুর্গার আরেক রূপ এই মহালক্ষ্মী ৷ মার্কণ্ডেয় পুরাণের চণ্ডীমাহাত্ম্যের দ্বিতীয় অধ্যায়ে উল্লেখ রয়েছে ৷ মা দুর্গাই মহালক্ষ্মীর রূপ ধারণ করে মহিষাসুরের সৈন্যবাহিনীকে বধ করেছিলেন ৷ আমাদের আশ্রমে সেই মহালক্ষ্মীরই পুজো হয়ে আসছে ৷ কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল থেকেই ষোড়শপচারে দেবীর পুজো শুরু হয় ৷ আজ সকাল থেকে সেই পুজো শুরু হয়েছে ৷ আগামিকাল সন্ধেয় টাঙন নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে ৷"

আরও পড়ুন: অপরাজিতা আঢ্যর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় কখন যাবেন, সময় বেঁধে দিলেন অভিনেত্রী

অষ্টাদশভূজা মহালক্ষ্মীর পুজো শুরু সারদাতীর্থমে

মালদা, 28 অক্টোবর: দশমী শেষে কার্নিভালে অংশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিদায় নিয়েছেন মা দুর্গা ৷ আজ বাঙালির ঘরে লক্ষ্মীপুজো ৷ ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় দেবীকে সৌভাগ্যের প্রতিরূপ হিসাবেই দেখে আসছে বাঙালি ৷ তাই আজও বাংলার সমাজে 'লক্ষ্মীশ্রী' শব্দটি বহুল চর্চিত ৷ প্রাচীন ধারণা, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে মর্তে নেমে আসেন দেবী ৷ তিনি নাকি প্রতি ঘরে ঘুরে বেড়ান ৷ কোজাগরী অর্থাৎ কে জেগে আছ ৷ সেখান থেকেই কোজাগরী শব্দের উৎপত্তি ৷ তাই বাঙালি রমণীরা বাড়ির মূল দরজা থেকে গর্ভগৃহ পর্যন্ত আলপনায় দেবীর পদচিহ্ন এঁকে দেন ৷ রাতভর দীপ জ্বালিয়ে দেবীর প্রতীক্ষা করেন ৷

প্রচলিত বাঙালি ধারণা থেকে অনেকটাই আলাদা হবিবপুরের প্রত্যন্ত গাংগুরিয়া গ্রামের শ্রী শ্রী সারদা তীর্থম আশ্রমের লক্ষ্মী আরাধনা ৷ 2022 সাল থেকে এই আশ্রমে পূজিত হন মহালক্ষ্মী ৷ এখানে তিনি দ্বিভূজা নন, তিনি অষ্টাদশভূজা ৷ তাঁর 16 হাতে নানাবিধ অস্ত্র ৷ বাকি এক হাতে পদ্ম, অন্য হাতে তাঁর বরাভয় মুদ্রা ৷ এমন লক্ষ্মীপ্রতিমা অন্য কোথাও দেখা যায় কিনা সন্দেহ রয়েছে ৷

আশ্রম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মা লক্ষ্মী শুধু ধনদৌলতের দেবীই নন ৷ তিনি মানবজাতির রক্ষাকর্ত্রীও ৷ তাঁরই মধ্যে বিরাজমান একাধিক দেবতা ৷ তিনি যেমন তাঁর ভক্তের সৌভাগ্য নিয়ে আসেন, তেমনই নানাবিধ আক্রমণ থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন ৷ সেই ধারণা থেকেই এখানে অষ্টদশভূজা মা লক্ষ্মীর পুজো হয়ে আসছে ৷ লক্ষ্মীর আগে এখানে গণেশ, শিব, নারায়ণ, সূর্য, দুর্গা-সহ 15 দেবদেবীর পুজো হয় ৷ তারপর শুরু হয় মা লক্ষ্মীর পুজো ৷ এই পুজোর ঘট স্থাপনে প্রয়োজন বট, অশ্বত্থ, আম, পাকুড় ও অশোক পল্লব ৷ এখানে একই দিনে দু'বেলা দুই রূপে পূজিতা হন দেবী ৷ দিনে তিনি মহালক্ষ্মী, রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী ৷ দিনের পুজো শেষে তাঁর হোমে লাগে 108টি বেলপাতা ৷ রাতের পুজোয় প্রয়োজন 1005টি বেলপাতা ৷ দু'বেলা দুই রীতিতে পুজো হয় ৷ পূর্ণিমা শেষে প্রতিপদ তিথিতে দুধ, দই ও মিষ্টি সহযোগে তাঁর বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয় ৷ সেদিন সন্ধেয় স্থানীয় টাঙন নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় ৷

শ্রী শ্রী সারদাতীর্থম আশ্রমের সম্পাদক স্বামী আত্মপ্রাণানন্দ বলেন, "1998 সালে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা হয় ৷ 2002 সাল থেকে মহালক্ষ্মী পুজো চালু করেন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী গিরিজাত্মানন্দজি মহারাজ ৷ মা দুর্গার আরেক রূপ এই মহালক্ষ্মী ৷ মার্কণ্ডেয় পুরাণের চণ্ডীমাহাত্ম্যের দ্বিতীয় অধ্যায়ে উল্লেখ রয়েছে ৷ মা দুর্গাই মহালক্ষ্মীর রূপ ধারণ করে মহিষাসুরের সৈন্যবাহিনীকে বধ করেছিলেন ৷ আমাদের আশ্রমে সেই মহালক্ষ্মীরই পুজো হয়ে আসছে ৷ কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল থেকেই ষোড়শপচারে দেবীর পুজো শুরু হয় ৷ আজ সকাল থেকে সেই পুজো শুরু হয়েছে ৷ আগামিকাল সন্ধেয় টাঙন নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে ৷"

আরও পড়ুন: অপরাজিতা আঢ্যর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় কখন যাবেন, সময় বেঁধে দিলেন অভিনেত্রী

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.