মালদা, 26 ফেব্রুয়ারি: হঠাৎ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের আলুচাষিদের ৷ বৃষ্টির জল জমে কয়েক হাজার হেক্টর জমি আলুচাষের ক্ষতি হয়েছে ৷ ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যেতে পারে 250 কোটি টাকা ৷ পরিস্থিতি খুবই খারাপ বলে স্বীকার করে নিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগও ৷ বিশদে পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট । আজ সেখানে পরিদর্শনে যান কৃষি আধিকারিক । ক্ষতিপূরণের দাবিতে তাঁকে ঘেরাও করে অবরোধ করে চাষিরা । আধিকারিকের আশ্বাসে ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ তুলে নেয় তারা ।
![rain_affects_potato_cultivation](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-mld-01-rain-affects-potato-cultivation-7203520_26022020155210_2602f_1582712530_428.jpeg)
ঘূর্ণাবর্তের জেরে গতকাল বিকেল থেকে মালদা জেলাজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয় ৷ চলে মাঝরাত পর্যন্ত ৷ কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয় ৷ আজ সকালে চাষের জমি দেখে মাথায় হাত পড়ে পুরাতন মালদার মহিষবাথানি এলাকার আলুচাষিদের ৷ জমিতে জমে রয়েছে বৃষ্টির জল । নিকাশি ব্যবস্থা নেই । ওই এলাকায় রয়েছে প্রায় 3 হাজার 100 হেক্টর জমি । সেখানে আলুচাষ হয় ।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা কৃষি বিভাগ ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা আসেন । ক্ষতিপূরণের দাবিতে তাঁদের ঘেরাও করে আলচাষিরা । গোবিন্দ রাজবংশী নামে একজন বলেন, "এই পরিস্থিতিতে আমরা কৃষি ঋণ মকুবের পাশাপাশি বিঘা প্রতি 30 হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি ৷ এই ক্ষতিপূরণ পেলে শুধু চাষের খরচটাই উঠে আসবে ৷ আগে শুনতাম, দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা আত্মহত্যা করছে ৷ আর্থিক ক্ষতিপূরণ না পেলে এবার কিন্তু ঋণের জ্বালায় মালদার কৃষকরাও আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে ৷"
এলাকা পরিদর্শন করার পর পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মৃণালিণী মণ্ডল মাইতি বলেন, "মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ শতাংশ চাষি আলুচাষ করে৷ তারা আলুচাষের উপর নির্ভরশীল৷ গতকালের বৃষ্টিতে এলাকার ৯৯ শতাংশ জমিতে হাঁটুজল জমেছে৷ আলুচাষে ক্ষতি হয়েছে৷ গোটা ঘটনাটি জেলা ও রাজ্য পর্যায়ে জানাব৷ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানাচ্ছি৷”
এই বিষয়ে ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি বিমা সংস্থাকে জানিয়েছি ৷ জানানো হয়েছে জেলা কৃষি দপ্তরকেও ৷ আজই একটি রিপোর্ট তৈরি করছি ৷ সেই রিপোর্ট কৃষি দপ্তর ও বিমা সংস্থাকে পাঠানো হবে যাতে চাষিরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পান ৷ এই এলাকার বেশিরভাগ চাষিই ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছেন ৷ তাঁরা যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পান, তার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব ৷”