মালদা, 20 অগস্ট: রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকার দাবি, রেফার করার পরেও দু'ঘণ্টা গ্রামীণ হাসপাতালের বাইরে পড়ে রইলেন গর্ভবতী (Pregnant Woman Remained Outside Hospital) । অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করার বিষয়টি জানেন হাসপাতালের বিএমওএইচ'ও ৷ তাও তিনি কিছুই বলছেন না, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে।
মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুরের বাসিন্দা তারিখ আনোয়ার। গত বৃহস্পতিবার তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী আসমিন খাতুনকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান । শনিবার দুপুরে আসমিন খাতুনকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Chanchal Super Specialty Hospital) রেফার করা হয়। অভিযোগ, রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেন মাস্টার ও অ্যাম্বুলেন্স চালক অতিরিক্ত 400 টাকা দাবি করেন। কিন্তু সেই টাকা দিতে না পারায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে রোগীকে গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরেই বসিয়ে রাখেন ৷
এরপরেই চেন মাস্টার ও অ্যাম্বুলেন্স চালককে (Ambulance Driver) ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিবারের লোকজন (Malda Chaos)। খবর দেওয়া হয় বিএমওএইচ'কেও। এরপরেই বিএমওএইচ চেন মাস্টার ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আসমিন খাতুনকে।
আরও পড়ুন: নেই জল-শৌচালয়, হাসপাতালের বাইরে গাছতলায় রাত কাটে রোগীর পরিজনেদের
তারিখ সাহেব বলেন, "আমার স্ত্রী গর্ভবতী। গত বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করি। আজ দুপুরে চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্ত্রী'কে রেফার করে দেন । আমরা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য এখানে আসি । অ্যাম্বুলেন্স চালক অতিরিক্ত 400 টাকা দাবি করেন। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় স্ত্রী'কে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
বিওএমএইচ অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, "অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য কখনও কেউ অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারেন না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভাবে 400 টাকাতেই অ্যাম্বুলেন্স চালকরা পরিষেবা দিচ্ছেন । রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা এই ঘটনার সঙ্গে ডাক্তারদের জড়িত থাকার যে অভিযোগ তুলছেন তা ভিত্তিহীন।"